পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বার্থ, নবম সংখ্যা । इसमें एथ Oy) করে। কিন্তু সে নকলেও মাছিমারা হয় না। মানুষের গলগ্ৰহ কিম্বা যন্ত্রস্থ হয়ে প্রকৃতি দত্ত স্বরগ্রামের কোনও সুর একটু চড়ে, কোনও সুর একটু বুলে যায়। তা’ত হবারই কথা। প্ৰকৃতির হৃদয়তন্ত্রী থেকে এক ঘায়ে যা বেরোয়, তা যে একঘেয়ে হবে-এ ত স্বতঃসিদ্ধ । সুতরাং মানুষে এই সব প্ৰাকৃত সুরকে সংস্কৃত করে নিতে বাধ্য। এ মত লোকে সহজে গ্রাহ করে ; কেননা প্ৰকৃতি যে একজন মহা ওস্তাদ, এ সত্য লৌকিক ন্যায়েও সিদ্ধ হয়। প্রকৃতি অন্ধ, এবং অন্ধের সঙ্গীতে বুৎপত্তি যে সহজ, এ সত্য ত লোকবিশ্রুত। প্ৰকৃতির ভিত্তর যে শব্দ আছে,-শুধু শব্দ নয়, গোলমাল আছেএ কথা সকলেই জানেন; কিন্তু তঁর গলায় যে সুর আছে, এ কথা সকলে মানেন না। এই নিয়েই ত আর্টও বিজ্ঞানে বিরোধ। আর্টিষ্টরা বলেন-প্ৰকৃতি শুধু অন্ধ নন, উপরন্তু বধির। যার কাণ” নেই, তার কাছে গানও নেই। সাংখ্যদর্শনের মতে পুরুষ দ্রষ্টা এবং প্রকৃতি নৰ্ত্তকী ; কিন্তু প্ৰকৃতি যে গায়িকা এবং পুরুষ শ্রোত-এ কথা কোন দর্শনেই বলে না। আর্টিষ্টদের মতে তৌৰ্য্যত্রিকের একটিমাত্র অঙ্গ-নৃত্যই প্ৰকৃতির অধিকারভুক্ত, অপর দুটি-গীতবাদ্য-নয়। এর উত্তরে বিজ্ঞান বলেন, এ বিশ্বের সকল রূপরসগন্ধম্পর্শ শব্দের উপাদান, এবং নিমিত্তকারণ হচ্ছে ঐ প্রকৃতির নৃত্য। কথাটা উড়িয়ে দেওয়া চলে না, অতএব পুড়িয়ে দেখা যাক ওর ক্তিত্তর কতটুকু খাঁটি মাল আছে।-- শাস্ত্রে বলে, শব্দ আকাশের ধৰ্ম্ম ; বিজ্ঞান বলে, শব্দ আকাশের নয় বাতাসের ধৰ্ম্ম। আকাশের নৃত্য অর্থাৎসর্বাঙ্গের স্বচ্ছন্দ কম্পন থেকে যে আলোকের, এবং বাতাসের উক্তরূপ কম্পন থেকে যে ধবনির উৎপত্তি