পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89. সবুজ পত্ৰ পৌষ, ১৩২৩ মানুষের মনের গোপন, গভীর, সূক্ষম, উচ্চ, কোমল, করুণ অধীর ভাবসকল গানে যেমন প্রকাশ করা যায়, এমন আর কিছুতে নয়। বাঙ্গালী জাতি ভাবপ্রবণ বলেই এত সঙ্গীতভক্ত । গান গাইতে DD KBBDSSirBBLBD DDBDB D DBD BD BBB DBDDD দেশে নেই। যদিও আমি একটি বাড়ীর মেয়েকে বলতে শুনেছি যে, “হঠাৎ বসে’ থাকতে থাকতে চেচিয়ে উঠে লোকে যে কি সুখ পায়, তা’ত বুঝতে পারিনে” ! সঙ্গীতের সৌভাগ্যবশতঃ এরকম শ্রোতা দুর্লভ । বাঙ্গলাদেশের নিজস্ব গান-বাউল কীৰ্ত্তন প্ৰভৃতি সম্বন্ধে আমি কিছু বলতে চাইনে ? কারণ, প্রথমতঃ আমি সে বিষয়ে খুব কম জানি, দ্বিতীয়তঃ তার রস বোধহয় সুরের চেয়ে কথার উপর বেশী নির্ভর করে। বাঙ্গালী মনের যে অংশ পল্লিবাসী, তা যে এই সরস কথা ও সরল সুরের সংযোগে মেতে ওঠে এবং ভাবে ভোর হয়, তা' আমরা সকলেই অল্পবিস্তর জানি ও বুঝি। ইতিহাস কি সাক্ষ্য দেয় ঠিক জানিনে, কিন্তু আমাদের সাবেক চালচলন ধরণধারণ আচার ব্যবহার বেশভূষা দেখলে মনে হয় আমরা বাঙ্গালীর পল্পীগ্রামেই জন্মগ্রহণ করেছি ও বাল্যকাল কাটিয়েছি। কবে কোন যুগে-প্ৰাণের দায়ে কিম্বা মানের দায়ে,-“সেই শান্তিভবন ভুবন” ছেড়ে এসেছি, তার সনতারিখ বলতে পারব না ; কিন্তু এখনো যে তার মায়া সম্পূর্ণ কাটাতে পারিনি তার প্রমাণ এই যে, বিশেষ কোন ভাবোন্দ্ৰেক করতে হলেই আমরা ঘুরে ফিরে সেই বাউলের সুরের আশ্রয় গ্ৰহণ করি। কিন্তু আমাদের সব আশা আকাঙক্ষ সে সুরে ব্যক্ত হয় না, আমাদের বর্তমান জীবনযাত্রার সব কথায় সে সুর সাড়া দিতে পারে