পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C o. সবুজ পত্ৰ . tलोव, ১৩২৩ পৌরাণিক যুগে লিবকুশের রামায়ণ-গান লোকপ্ৰসিদ্ধ; ও ততদিনে বোধহয় সাতটি শুদ্ধ স্বরের অভিব্যক্তি হয়েছিল। বড়ই আপশোযের বিষয় যে, আমাদের ঐতিহাসিক স্পাহা তত প্ৰবল না হওয়াতে, এবং স্বরলিপির প্রচলন পুর্বে না থাকাতে, এই সব আদিম গানের কোন প্ৰতিধ্বনি কলিযুগ পৰ্যন্ত এসে পৌছোয়নি। বৌদ্ধযুগন্তে उाशभा যুগের পুনরভুখানের সময় যে সঙ্গীতের যথেস্ট প্রচলন ও সমাদর ছিল, তার প্রমাণ সংস্কৃত কাব্যাদিতে পাওয়া যায় মাত্র। সঙ্গীতশাস্ত্রকে BBBB LLL KEDDB BBD DDS DDD DBDS BE DBE DD দ্বারা তা” রাজ-অন্তঃপুরেও শেখানো হত-এর থেকে সে সম্মানের মাত্রা বোঝা যায়। ত’ ছাড়া দেবলোকে যে, বিদ্যার জন্ম, সরস্বতীদেবী যার অধিষ্ঠাত্রী, নারদ যার দ্বারায় হুরিগুণ কীৰ্ত্তন করেন, অষ্পরাগণ যার সাহায্যে দেবতাদের মনোরঞ্জন করেন, এবং শ্ৰীকৃষ্ণ যার টানে তঁর ভক্তদের মধ্যে অধিষ্ঠান করেন বলে পুরাণের কথন ;- সে বিদ্যাকে যদি আমরা হেয়াভজ্ঞান করে” থাকি তা সে নিতান্তই আমাদের অধঃপতনের ফলে। তবু আমরা অত্যন্ত স্থিতিশীল ও অতীতভক্ত জাত বলে, মুখে মুখে এতকাল পরেও যে অন্ততঃ মুসলমান আমলের সঙ্গীতপদ্ধতি কথঞ্চিৎ রক্ষিত হয়েছে, সে আমাদের ওস্তাদ বংশপরম্পরার কৃপায়, এবং সেজন্য তঁরা আমাদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদের পাত্ৰ। মুসলমানগণ তাদের সঙ্গে কোন জাতীয় সঙ্গীতপদ্ধতি এনেছিলেন কিনা জানিনে। তারা সে সময় কিছু রূঢ়প্ৰকৃতির ছিলেন, এবং গানবাজনা নাট্যোল্লাসের পক্ষপাতী ছিলেন না বলেই শোনা যায়। তবে দক্ষিণে, যেখানে মুসলমানপ্রভাব কম, সেখানে সঙ্গীতের রূপ সম্পূর্ণনা হোক, অনেকটা ভিন্ন বলে, মনে হয় যে হয়ত সেইটেই