পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ध बर्ष, मदत्र ज९था vitive-ზifdს% PC এই বিশ্বাসই বোধহয় আর একটি পৌরাণিক বিশ্বাসের মূল,— অর্থাৎ যে তঁরা যখন দেবতা, আমরা যখনতখন ডাকলে চলবে না, তাদের অবকাশমত ডাকা চাই ; তাই বিশেষ সময়ে বিশেষ রাগ গাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যথা :-সকালে ভৈরব, দুফুরে সারঙ্গ, বিকেলে মুলতান, রাত্রে বেহাগ ইত্যাদি। কৃষ্ণধন বাবু অতি অশাস্ত্রীয় প্রকৃতির লোক, সুতরাং তিনি অবশ্য এর আধুনিক ব্যাখ্যা এই দেন যে, সেকালে রাজবাড়ীতে প্ৰহরে প্রহরে বৈতালিকদের গান হত, তাই একঘেয়ে বা এলোমেলোভাবে না গেয়ে তারা বিশেষ সময়ের জন্যে বিশেষ রাগ নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। যেসময় যেটি শোনা অভ্যাস, সেই সময় সেটি শুনলে যে ভাল লাগে, সে বিষয় তা আমরা ও আজকাল সাক্ষ্য দিতে পারি। শাখবাজানোর সঙ্গে আমাদের মনে যে মঙ্গলভােব জড়িত, রসুনাচৌকীর আওয়াজ শোনবমাত্র বিবাহ-উৎসবের যে করুণ আনন্দ আমাদের মনে জেগে ওঠে, তা কি অপর কোন দেশের লোকের হওয়া সস্তব ?--বিশেষতঃ শব্দের স্মৃতিউদ্দীপনী শক্তি প্ৰসিদ্ধ। তাই শুনতে শুনতে আমাদেরই সকাল সন্ধ্যার রাগ সময়ে শুনলে যত ভাল লাগে, অসময়ে তত ভাল লাগে না। ;-ওস্তাদদের ত কথাই নেই। সঙ্গীতসম্বন্ধে আর একটি কৌতুকবহ কিম্বদন্তি এই যে, বিশেষ বিশেষ রাগের বিশেষ ক্ষমতা আছে, যথা :-দীপক গাইলে আগুণ জ্বলে’ ওঠে, মেঘমাল্লার গাইলে বৃষ্টি নামে, ইত্যাদি ; প্ৰমাণস্বরূপ অনেক গল্প ও প্রচলিত আছে। সপ্তস্বর সাতটি জীবের কণ্ঠস্বর থেকে গৃহীত বলে সেকালে আর এক ধারণা ছিল ; যথা :-ময়ুর থেকে সা, বৃষ থেকে রে, ছাগল থেকে গা, বক থেকে মা, কোকিল থেকে পা ( এখনো সেইজন্য