পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ov) সবুজ পত্ৰ ch, Yose কবির বলেন কোকিল৷ পঞ্চমে গায়), অশ্ব থেকে ধা, এবং হাতী থেকে নি । সেকালের লোকের কিছু অধিক কল্পনাপ্রবণ ছিলেন বলে’ তাদের লেখার নীর বাদ দিয়ে ক্ষীর গ্রহণ করা একটু শক্ত। তাই বলে’ মনে কর” না যে প্ৰাচীন সঙ্গীতশাস্ত্রের সবই অতিরঞ্জিত এবং অনাবশ্যক জল্পনা। সকল বিষয়ের চূড়ান্ত মীমাংসা করবার দিকে হিন্দু-মনের যে স্বাভাবিক বেঁক ছিল, সঙ্গীতশাস্ত্রেও নিশ্চয় তার পরিচয় পাওয়া । যাবে। তবে কালে অনেক পরিবর্তন এবং আশা করি সেই সঙ্গে উন্নতিও হয় বলেই বলছিলুম যে, তাদের সব সিদ্ধান্ত আমাদের কালের উপযোগী নয়। কিন্তু এমনও অনেক জিনিস আছে, বিশেষতঃ রাগতালের বিবরণ, যাতে একালেরও নজির পাওয়া যায়, এবং যা’ না জানলে আধুনিক হিন্দুসঙ্গীত সম্বন্ধেও পরিষ্কার ধারণা হয় না। যেমন কিছু ব্যাকরণ না জানলে ভাষাজ্ঞান সম্পূৰ্ণ হয় না। রাগ কাকে বলে জান ?- জানলেও বোঝানো শক্ত ; যেমন ‘প্ৰাণ” কথাটার মানে আমরা সকলেই বুঝি, কিন্তু বোঝাতে হলে ফাঁপরে পড়ে।” যাই। আমি বড় জোর বলতে পারি যে, আমাদের দেশের গানের সুর রাগরাগিণী নামক কতকগুলি শ্রেণীতে বিভক্ত। তার কাজ হচ্ছে প্ৰতি সুরের জাতিপরিচয় দেওয়া। যেমন মানুষমাত্রেরই পাঁচ ইন্দ্ৰিয় আছে,-অথচ গঠন, রঙ, আচার, ব্যবহার, বেশ ও নিবাস অনুসারে তারা বিশেষ বিশেষ জাতিতে বিভক্ত ; তেমনি গানের সুর মাত্রই সপ্তস্বরের লীলা, কিন্তু সেই স্বরগুলি সাজাবার তফাতে রাগের তফাৎ হয়। এই উপমার একটু বিশেষ উপযোগিতা এই যে, কৃষ্ণধন বাবুর মতে এক এক জাতি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত বিশেষ