পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७घ्र वर्षं, नवमं ल२९ī সঙ্গীত-পরিচয় Ο δ δ রঙিয়ে বা চুড়ি মাঙিয়ে দিতে হবে, কারো নুপুর বাজছে, কারো ননদী বািকছে । হিন্দী খেয়াল রচয়িতার মধ্যে সদারঙ্গ ও আধারঙ্গ বিখ্যাত । টিপ্পা খেয়ালের চেয়ে আরো সংক্ষেপ, আরো হাল্কা এবং আরো তানযুক্ত,-কথায় কথায় তান । এ সম্বন্ধেও এই একটা গল্প প্ৰচলিত আছে যে, সদারিঙ্গের এক সাক্ৰেদ গোলাম রসুল লক্ষ্মেীয়ে গিয়ে খেয়ালের ঔৎকৰ্ষ্য সাধন করেন। তঁরই ছেলে গোলাম নবী, শোরী নামক এক পাঞ্জাবী স্ত্রীলোকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন, এবং তঁাকে উদ্দেশ করে” যে সব গান রচনা করেন, তারই নাম টপ্পা । শোরীর টপ্পা পাঞ্জাবী ভাষায় রচিত, সেটা ঠিক ; এবং শোরীর নামও শেষে উল্লিখিত আছে, তা'তে অনেকের মনে হয় যে শোরীমিঞাই বুঝি রচয়িত । টপ্পারও খেয়ালের মত কেবল এক আস্থায়ী ও অন্তর, এবং খেয়ালের প্রায় সকল তালই ত’তে ব্যবহৃত হয় ; শোরীর টপ্ল অধিকাংশ মধ্যমান তালে। কেবল রাগিণীতেই খেয়ালের সঙ্গে টপ্পার প্রভেদ। টপ্পা আধুনিক এবং সংক্ষিপ্ত বলে’-কাকী, পিলু, বারোয়া, ঝিবিট, লুম প্ৰভৃতি আধুনিক রাগে রচিত হয়ে থাকে ; প্রাচীন রাগের মধ্যে ভৈরবী, খাম্বাজ, কালাংড়া, দেশ ও সিন্ধুই ব্যবহৃত হয়। টপ্পার হালুক তান গিটকিরির সঙ্গে ভারি রাগ, তাল বা ভাব খাপ খায় না । , এই তিনরকম গানের মধ্যে যে ওস্তাদ যে ঢংয়ের সাধনা করেছেন, সেইপ্রকার গানই গেয়ে থাকেন, কারণ অভ্যাসবশতঃ সেই এক ধরণই তার গলায় সহজে আসে । পরস্পরের রাগতাল ব্যবহার না করার দরুণ এই তিনটি রীতি একেবারে পৃথক হয়ে পড়েছে। vey