পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(RNP সবুজ পত্ৰ পৌষ, ১৩২৩ কেঁকে হয়েছে, তার ফলে অনেক যন্ত্র একসঙ্গে বাজানো, এবং সব সময়ে এক সুরে না বাজিয়ে আলাদা আলাদা সম্বাদী সুরে বাজানোর চেষ্টাতে য়ুরোপীয় হারমণি বা স্বরসন্ধির প্রভাব লক্ষিত হয়। একজন লেখক একে সঙ্গীতের “গড়ে মালা গাথা” বলেছেন, অর্থাৎ একহারা মূল সুরের সঙ্গে অন্যান্য সুর এমনভাবে যোজনা করা, যাতে সবসুদ্ধ শ্রুতিমধুর হয়। ফলতঃ, আমাদের যন্ত্রের উন্নত করবার দিকে দেশের লোকের তেমন ঝোক না দেখা গেলেও, সৌভাগ্যবশতঃ গানের চর্চা থেমে যায়নি, বরং বাড়তেই চলেছে। অনতিপূর্বে সঙ্গীতকে যেমন অবহেলার চক্ষে, কিম্বা কেবল পেশাদারের উপযুক্ত বলে ঘূণার চক্ষে দেখা হত, কিছুদিন থেকে সে রেওয়াজ উঠেছে, ও সে অবজ্ঞার বদলে অনুকুল হাওয়া বইতে আরম্ভ করেছে এবং কতকগুলি সঙ্গীতবিদ্যালয়ও স্থাপিত হয়েছে, সেটি সুখের বিষয়। আধুনিক বাপ মা ছেলেমেয়েকে গানবাজনা শেখাবার জন্যে ব্যস্ত, বরং কিছু বেশী ব্যস্ত; অর্থাৎ রাতারাতি তাদের ওস্তাদ করে তুলতে চান, এবং অনেক সময়ে বিবেচনা করেন না। তাদের ভিতরে সে ক্ষমতা আছে কি না । যাইহোক, ঔদাসীন্য অপেক্ষ উৎসাহ শ্রেয়, সে বিষয় সন্দেহ কি ?-- আমাদের দেশের জীবন্ত শিল্পকলার মধ্যে সঙ্গীতই প্ৰধান, সে কথা মনে রেখে আশা করি আমাদের দেশের লোকে-বিশেষতঃ মেয়েরা,- এই মোহিনী-বিদ্যার চর্চা ও উন্নতির প্রতি সমধিক লক্ষ্য २८ ।। এতক্ষণ যদিও ওস্তাদী হিন্দী গানের তরফে ওকালতী করলুম, কিন্তু অবশেষে স্বীকার করতেই হবে যে হিন্দী গান যতই ভাল হোক,