পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, নবম সংখ্যা नांईिcड डांध (RSRA ( R ) কিন্তু চুপ করে থাকা শ্রেয় হলেও সাহিত্যিকের পক্ষে কথা কওয়াটাই প্ৰেয়। সুতরাং পুনরায় এই তর্ক-যুদ্ধে যোগ দেবার জন্য আমার পক্ষে যদিচ কোনরূপ কৈফিয়ৎ দেবার দরকার নেই-তবুও তা দিচ্ছি। অগ্রহায়ণ মাসে নারায়ণ পত্ৰে শ্ৰীযুক্ত নলিনীকান্ত গুপ্ত সাধুভাষার স্বপক্ষে যে-সব যুক্তিতর্কের অবতারণা করেছেন তা আমার মতে বিশেষরূপে আলোচনার যোগ্য । পুৰ্ব্বপক্ষের যত লেখা অদ্যাবধি আমার চোখে পড়েছে, তার মধ্যে উক্ত প্ৰবন্ধের একটা বিশেষত্ব আছে। এ প্ৰবন্ধের মধ্যে উচ্চ অঙ্গর সাহিত্য জ্ঞানের পরিচয় পত্রে-পত্রে ছত্ৰে-ছাত্রে পাওয়া যায়। গুপ্তমহাশয় যা বলেছেন, তার অনেক কথা সত্য ; বাদবাকী সব সত্যাভাস-একটি কথাও একেবারে মিছে নয়, সুতরাং আমি সাগ্রহে এর মতামতের আলোচনা করতে প্ৰবৃত্ত হচ্ছি। এর মতের সঙ্গে আমাদের মতের অমিল যে কোথায় তা এক-নজরে ধরা যায় না ; অথচ অমিল যে আছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। কেননা ইনি তথাকথিত সাধুভাষার স্বত্ব স্বামিত্ব রক্ষা করবার জন্যই বহুবিধ আলঙ্কারিক এবং ঐতিহাসিক যুক্তির অবতারণা করেছেন। যখন আমাদের পরস্পরের প্রায় প্রতি-কথারই গোড়ায় মিল আছে, তখন শেষে অমিল হবার কারণ-হয়, আমি ঠিক-নামাতে ভুল করেছি, নয় তিনি করেছেন। আমার মনে এ-সন্দেহও হয় যে এ ক্ষেত্রে গুপ্তমহাশয়ের সঙ্গে আমরা Principle৪-এ একমত—আমাদের মধ্যে *ী-কিছু মতভেদ Facts নিয়ে । গুপ্তমহােশর এই বলে তঁরা প্ৰবন্ধ সুরু KCC2 “পণ্ডিতী ভাষা ব্যতিরেকেও এক সাধুভাষা আছে, বঙ্কিমচন্দ্ৰ যাহার। প্ৰবৰ্ত্তক এবং যাহাই সাহিত্যের ভাষা বলিয়া এ যাবৎ পরিচিত।......সম্প্রতি এক চেষ্টা *ীমস্ত হইয়াছে যে, মৌখিক ভাষাতেই সাহিত্য রচনা করিতে হইবে। রবীন্দ্ৰনাথ বর্তমানে তঁাহার সমস্ত প্ৰতিভা এই চেষ্টায় ঢালিয়া দিয়াছেন। বাঙ্গলার যে ইইজন শ্ৰেষ্ঠ সাহিত্যিক, যাহারাই একরকম বাঙ্গলা-ভাষা স্বষ্টি করিয়াছেন,