পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, দশম সংখ্যা “नडून-डूि” (c) হৌক না, যতদিন পৰ্য্যন্ত উচিত, তার চাইতে বেশী দিন তার জের টানলে-মা ও শিশু দু’জনের পক্ষেই তা’ অপকারী হ’য়ে দাড়াবে। আমাদের শিক্ষায়, আমাদের সাহিত্যে, আমাদের চিন্তায়, আমাদের অনুষ্ঠানে, আমাদের ধৰ্ম্মে, আমাদের সমাজে সর্বত্র আমাদের ঝোঁক এবং জেদ হয়েছে এমিধারা পুরাতনের জের টানবার দিকে ! আমাদের বুদ্ধি আমরা নিযুক্ত করেছি। নতুনকে নাজেহাল করুবার জঙ্গে ; আমাদের বিদ্যা আমরা জাহির কচিছ পুরাতনের পক্ষে সাফাই গেয়ে - এতে করে আমাদের ওকালতি বুদ্ধি মাৰ্জিত হ’লেও, আন্তরিকতা ক্রমেই কমে আসছে। পুরাতনের সহস্ৰ ক্ৰটী আমরা অহরহ দেখছি, অথচ নতুনের গুণরাজি আমরা কল্পনার কালিতে ঢাকৃছি। যা’ আমাদের মনে নেই, তাই আমরা মুখে গাচ্ছি ; আর, যা আমরা মুখে সাধুছি, তা’ কাজে কচ্ছি নে ! আমাদের শিক্ষিত সমাজের মনোজগতের এই সব গোলমালের একটা প্ৰতিক্রিয়া আছে—আমাদের জাতীয় জীবনের “পরে। মনে হয়, তারি ফলেই, আমাদের দেশ-ব্যাপী আন্দোলন পরিণত হয় হুজুগে ; আর অনুষ্ঠান পৰ্য্যবসিত হয় আস্ফালনে ! বৰ্ত্তমান যুগে রক্ষণ-শীলতার মানে,-পুরাতনের জায়গায় নতুনকিছু আনবার আগে তাকে বেশ করে' বাজিয়ে নেওয়া ; পুরাতনের তুলনায় তার উপযোগীতা বেশী। কিনা বিচার করা। এ কাজ করতে হ’লে উন্নতি-প্ৰয়াসী মাত্রেরই উচিত বিচারবুদ্ধিকে যথাশক্তি শানিত রাখা ; আর মনটাকে একেবারে নিরপেক্ষ করা। নূতন পুরাতনের পরীক্ষায় আগেভাগেই পুরাতনের গায়ে পাশের মার্কা মেরে দিলে চলবে না। নতুনের আমরা বিচারক হ'লেও, এটা আমাদের সব সময়েই মনে রাখতে হবে যে, সে আমাদের সামনে যে জায়গাটায়