পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दांक्राळांद्ध झेडिशन् । 3ት፥፰ মহামহোপাধ্যায়৷ শ্ৰীযুক্ত হরপ্ৰসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলেছেন যে “বাঙ্গালী একটি আত্মবিস্মৃত জাতি।” আত্মবিস্মৃত হয়ে থাকাটা কিছু মন্দ নয়, বিশেষতঃ একালে। কেননা পুৱাকাল সম্বন্ধে যৎসামান্য জ্ঞান নিয়ে যখন আমরা অপরিমিত আত্মগরিমােয় স্ফীত হয়ে উঠেছি তখন বেশী জানলে কি যে করতুম তা ভেবে ঠিক করা শক্ত। কিন্তু ঐতিহাসিকগণ আমাদের আর আত্মবিস্মৃত থাকতে দেবেন না বলে উঠে পড়ে লেগেছেন ; এই দু’চার বৎসরের মধ্যে অসাধারণ পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের ফলে একই রকমের দুটি ইতিহাস বাঙ্গলা-সাহিত্যে डीआक्राउछ दGद्र6छ । এর একখানি, শ্ৰীযুক্ত রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় এম, এ, মহাশয়ের বাঙ্গলার ইতিহাস, পড়ে আমার যা মনে হয়েছে, তা এ প্ৰবন্ধে লিপিবদ্ধ করছি। রাখাল বাবুর রচিত পুস্তকটিকে ইতিহাস আখ্যা প্ৰদান করা সমীচীন বলে মনে হয় না। কারণ এ বই থেকে আমাদের জাতীয় জীবনের অভিব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায় না । বন্দোপাধ্যায় মহাশয় নিজেও জানেন যে ইতিহাস জিনিসটা স্বতন্ত্র, সে জন্য তিনি ভূমিকায় লিখেছেন যে, “সংগৃহীত উপাদান অবলম্বনে যে ইতিহাসের কঙ্কাল যোজিত হইয়াছে তাঁহাই প্ৰকাশিত হইল”।*।। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ এবং তঁদের পস্থানুবৰ্ত্তী দেশীয় প্রত্নতত্ত্ববিদদের বিপুল অধ্যবসায় এবং পরিশ্রমের ফলে ভারতবর্ষের