পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जबूच *ख्य ६, ७७२७ په 62 রাখাল বাবুর বই পড়লে সকলেই দেখতে পাবেন যে সে ধারণা সম্পূর্ণ সত্য নয়। আৰ্য-সভ্যতা যে বাংলা-দেশে চাটুপটু এসে পৌঁছয়নি, তার প্রমাণ আমরা প্ৰাচীন বৈদিক-সাহিত্য হতে পাই ; আমাদের শরীরে কি পরিমাণে অাৰ্য্যরক্ত আছে তার আলোচনা নৃতত্ত্ববিদেরা করবেন ; কিন্তু আৰ্য আসবার অনেক পূর্বে বাংলাদেশে যে দ্রাবিড় নামক একটি সুসভ্য জাতি বাস করত ; তার প্রমাণ রাখালবাবু প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ আমাদের সামনে ধরে দিয়েছেন। ক্যালডিয়ার ইতিহাসের বিখ্যাত সুমের জাতি যদি বাস্তবিকই দ্রাবিড় জাতির একটি শাখা হয়, তাহলে দ্রাবিড় জাতির সঙ্গে আত্মীয়তা স্বীকার করতে হয়ত আমরা নারাজ হবন। তারপর রাখাল বাবুর ইতিহাসে এই সত্য বিশেষ করে আমাদের চাখে পড়ে যে বাংলা দেশ রারংবার ভারতবর্ষের উত্তরাপথের রাষ্ট্ৰীয় উৎপাতের দ্বারা বিধ্বস্ত হয়েছিল, কেননা সেকালে বাংলার কোন ও স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ছিল না। মোৰ্য্য, শুঙ্গ, কাশ্ব, অন্ধ, এবং গুপ্ত শাসন বাংলা-দেশের উপর কি পৰ্য্যন্ত প্রভাব বিস্তার করেছিল, তা জানার উপায় আমাদের নেই ; কিন্তু এই সহস্ৰ বৎসরাধিক রাষ্ট্রীয় জীবনের অস্থিরতায় বাঙ্গালী কিংবা ভারতবর্ষের অপর কোন জােতই যে তাদের নিজত্ব গড়ে তোলবার সুযোগ পায়নি, তা সুনিশ্চিত । বৰ্ত্তমানকালে পৃথিবীর অপরাপর জাতির ঐক্য দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি। আমাদের মধ্যে কোন কোন স্বদেশ-বৎসল লোক শাস্ত্ৰ থেকে বচন তুলে প্রমাণ করতেও চেষ্টা করেছেন যে, আমরাও বহুপ্ৰাচীন কাল হতে এক জাতি । কিন্তু এখনকার দিনে আমাদের যা ঈপ্সিত তা আমরা পেয়ে বসে আছি বলে, নিজেদের যেন ভুলিয়ে