পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७व्र वर्षं, श्र्न्म १९] त्रांत्रिगांव्र हैंडिशन না। রাখি । ভারতবর্মের ইতিহাস পৰ্য্যালোচনা করলে যেটা সব চাইতে স্পষ্ট করে আমাদের চোখে পড়ে তা হচ্ছে ভারতবাসীদের মৌলিক ঐক্য নয়, মৌলিক পার্থক্য। হাজার বৎসর ধরে আমাদের দেশের রাষ্ট্ৰীয় ল্যাবরিটারিতে সমগ্ৰ ভারতবর্ষকে একছত্ৰ সামাজ্যে পরিণত করবার চেষ্টা হচ্ছিল। আমরা জানি যে ভৌগলিক হিসাবে মাঝে মাঝে এ চেষ্টা কাৰ্য্যে পরিণত হলেও আমাদের দেশের কোন সাম্রাজ্য বেশীদিন স্থায়ী হতে পারে নি; কেননা সে সাম্রাজ্য সমগ্ৰ ভারতবাসীর রাষ্ট্রীয় জীবনের ঐক্যসাধন করতে পারেনি । অমর বারংবার দেখছি যে অসামান্য শক্তিশালী দু’একজন রাজা তাদের বাহুবলে ভারতবর্ষে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন, কিন্তু তুদের মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই তঁাদের সাম্রাজ্য ভেঙ্গে চুরে খান খান হয়ে গিয়েছে, তার কারণ সমগ্ৰ ভারতবর্ষে একটি রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তোলবার উপাদান সে কালে ছিল না। এই আসমূদ্রব্যাপী সাম্রাজ্য স্থাপন করবার বৃথা চেষ্টার ফলে শুধু ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন জাতির স্বাতন্ত্র্য ফুটে উঠতে পারেনি। আমার মনে হয় এই দীর্ঘকালর্যাপী সাম্রাজ্য গড়বার অস্বাভাবিক চেষ্টাতেই খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে আমাদের দেশ থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন সম্পূৰ্ণ তিরোহিত হয়। রাখালবাবু প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ মুসলমান বিজয়ের পূর্বে ভারতবর্ষের অন্তদ্বন্দ্ব দেখে অনেকটা বিস্মিত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন। যে নিদারুণ অরাজকতা এবং রাষ্ট্রীয় বিপ্লবকে অপসারিত করে মুসলমান সম্রাটগণ ভারতবর্ষে নিজেদের অধিকার স্থাপন করেছিলেন তা জেনে আমরা কখনই মুসলমান বিজয়ের জন্য আক্ষেপ করতে পারিনে। এখন