পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

12> সবুজ পত্ৰ ফাস্তুন, ১৩২৩ শিক্ষা নিয়ে মানুষে চিরকাল শুধু Experiment করে আসছে এ কথা সত্য হলেও পৃথিবীর অপর দেশের সঙ্গে আমাদের দেশের এ विवश अक9 &कां९७ citडल अछि । ইউরোপের সকল দেশের শিক্ষাপদ্ধতিই জাতীয় জীবনের সঙ্গে সঙ্গে কালক্রমে গড়ে উঠেছে-অবশ্য সমভাবে নয়। সে দেশের মামুলি শিক্ষা কখনও বা জাতীয় জীবনের গতির সঙ্গে পা ফেলে চলতে পারে নি, এবং সেই কারণে-ত নবযুগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, আবার কখনও বা সে শিক্ষা জাতীয় জীবনকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে এবং সমাজকে নবমন্ত্রে শিক্ষিত, করে জাতীয়-জীবনের নবতন্ত্র সৃষ্টি করেছে। গত একশ বৎসরের ইউরোপের ইতিহাস এই সত্যের পরিচয় দেয় যে ইংলণ্ডের শিক্ষার ধাৎ হচ্ছে জীবনের পশ্চাৎপদ থাকা আর জাৰ্ম্মাণির অগ্রসর হওয়া। কিন্তু ধীরেই হো’ক আর দ্রুতবেগেই হোক-ইউরোপের সকল দেশেই শিক্ষার পদ্ধতি জাতীয় জীবনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই পরিবৰ্ত্তিত হয়ে আসছে কারণ সে দেশের লোকেরা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন, যে শিক্ষার সঙ্গে জীবনের সম্পর্ক অতি ঘনিষ্ঠ। কখন বা নবশিক্ষা নবযুগের বোধন করে, কখন বা নবযুগ নবশিক্ষার আবাহন করে, এই যা তফাৎ। অপর পক্ষে আমাদের নবশিক্ষা আমাদের জাতীয় বুদ্ধি ‘কিম্বা জাতীয় নিবুদ্ধিতা থেকে জন্মলাভ করে নি। এ কালের স্কুল কলেজ দেশের মাটিতে গজায় নি, আকাশ থেকে পড়েছে-সুতরাং এ বওঁ আমরা এখনও ভাল করে চিনিনে সুতরাং এর ফলাফল সম্বন্ধে পাঁচজনের সন্দিহান হওয়া নিতান্তই স্বাভাবিক —শুধু তাই নয়, এই শিক্ষা দেশের মাটিতে শিকড় গাড়বে কি না সে বিষয়েও অনেকর সন্দেহ আছে৷