পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৫২

908 সবুজ পত্ৰ 平何a,》989 সুতরাং সত্য বলিতে হইবে। এ কথাটা সকল সময় সকল ভুবস্থায় নিখুঁত সত্য নহে। —সত্য কথা বলিতে হইলে এ কথাও স্বীকার করিতে হইবে। সমাজের পরিণতির ইতিহাস আলোচনা করিলে আমরা দেখিতে পাই যে সর্বত্রই কোনও একটা নিয়ম যখন প্ৰথম বিধিবদ্ধ হয়-তা সে নিয়ম ধৰ্ম্মেরই হউক আর সমাজেরই হউক, আইনেরই হউক আর নীতিরই হউক-প্ৰথমে সে নিয়ম খুব ব্যাপক ভাবে রচনা করা হয়, পরে ক্রমে ক্রমে তাহার পরিধি সঙ্কীর্ণ করিয়া তাহাকে জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়াইয়া লাটুতে হয়। নিয়মৰ্ট যে অতিব্যাপক এ সত্য কুলক্রমে অভিজ্ঞতা হইতে লাভ করা যায়। এমনি করিয়া প্ৰত্যেক নিয়ম সন্ধুচিত হইয়া ক্রমশঃ অধিক সত্য হইয়া উঠে । যেখানে অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মকে এই ভাবে সীমাবদ্ধ করিয়া না লওয়া হয়। সেইখানেই ক্ৰমে নিয়ম অসত্য হইয়া দাড়ায় এবং বাস্তব জীবন ও নৈতিক জীবনে বিরোধ বাধিয়া উঠে । যে প্ৰকৃত সত্যনিষ্ঠ তাহাকে একদিকে যেমন ধৰ্ম্মের সঙ্গে জীবনকে সঙ্গত করিতে হইবে, তেমনি অপরদিকে ধৰ্ম্ম বা নীতির যে নিয়ম সত্য DBDDBD BDBBD DBDDD BDB KDB DBBD K হইতে হইবে। যে সত্যনিষ্ঠ সে কোনও কথা মানিয়া লইবে না ; কোনও কথা সত্য বলিয়া মানিবার পূর্বে তাহার মন ও বুদ্ধির নিকট তাহা যাচাই করিয়া লইবে । কোনও আচার বা অনুষ্ঠান বা বিধি যত কেন প্রাচীন হউক না, তাহা যদি তোমার নিজের চিত্তের নিকট, সম্যক সশ্রদ্ধ অনুসন্ধানের পর সত্য বলিয়া প্ৰতিভাত না হয় তবে তুমি তাহা গ্ৰহণ করিবে না। ইহাই সত্যনিষ্ঠের প্রথম সংবাল্প। যদি তুমি কোন