পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্ৰ ফাস্তুন, ১৩২৩ ( ( ) আবার স্বদেশের নয়, স্বকালের ভিতর থেকে বেরিয়ে গেলে, আমরা ঐ একই সত্যের পরিচয় পাই। প্ৰাচীন গ্ৰীকেইতালীয় সভ্যতার ঐকান্তিক রূপচর্চার ইতিহাস তা জগৎবিখ্যাত। প্ৰাচীন ভারতবর্ষাও রূপ সম্বন্ধে অন্ধ ছিল না ; কেননা আমরা যাই বলি নে কেন, সে সভ্যতাও মানব-সভ্যতা,-একটা সৃষ্টিছাড়া পদার্থ নয়। সে সভ্যতারও শুধু আত্মা নয়, দেহ ছিল,—এবং সে দেহকে আমাদের পূর্বপুরুষেরা সুঠাম ও সুন্দর করেই গড়তে চেষ্টা করেছিলেন । সে দেহ আমাদের চোখের সুমুখে নেই বলেই আমরা মনে করি যে, সেকালে যা ছিল, তা হচ্ছে শুধু অশরীরী আত্মা। কিন্তু সংস্কৃত-সাহিত্য থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তাদের কতটা সৌন্দৰ্য্যজ্ঞান ছিল। আমরা যাকে সংস্কৃত-কাব্য বলি, তাতে রূৰ্ণবৰ্ণনা ছাড়া আর বড় কিছু নেই ; আর সে রূপবর্ণনাও আসলে দেহের-বিশেষতঃ রমণীর দেহের বর্ণনা-কেননা সে কাব্য-সাহিত্যে যে প্ৰকৃতিবর্ণনা আছে, তাও বস্তুতঃ রমণীর রূপবর্ণনা। প্ৰকৃতিকে তঁরা সুন্দরী রমণী হিসেবেই দেখেছিলেন। তার যে অংশ, নারী-অঙ্গের উপমেয় কি উপমান নয়, তার স্বরূপ হয় তাদের চােখে পড়ে নি, নয় তা তারা রূপ বলে গ্রাহ করেন নি। সংস্কৃঃসাহিত্যে হরেক রকমের ছবি আছে, কিন্তু Landscape নেই বল্লেই হয়,- অর্থাৎ, মানুষের সঙ্গে নিঃসম্পর্ক প্রকৃতির অস্তিত্বর বিষয় তঁরা সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন। Landscape প্ৰাচীন গ্রীস কিম্বা রোমের হাত থেকেও বেরীয় নি।--তার কারণ, সে কালে মানুষে, মানুষ বাদ দিয়ে বিশ্বসংসার দেখতে শেখে নি। এর প্রমাণ শুধু আর্টে নয়, দর্শনে বিজ্ঞানেও পাওয়া DS S BDB DKDBB DDSDDDD LBB DODB 0 SBB