পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to o সবুজ পত্ৰ চৈত্র, ১৩২৩ দেখা উচিত যে, আমাদেরও হিংসা আছে, রাগ আছে, কিন্তু আমরা রাগ করি কেবল সেই ব্যাপারে, যা আমাদের প্রত্যক্ষভাবে স্পর্শকরে;- সমস্ত দেশের হয়ে রাগ করা, হিংসা করা, সে কি কেবল নিজের স্বার্থের জন্যে হিংসা করার চেয়ে মহৎ নয় ? যেদিন থেকে আমরা আমাদের অতীত নিয়ে গর্ব করতে আরম্ভ করলুম, সেদিন থেকে সংস্কৃত-ভাষার মাহাত্ম্য বেড়ে গেল। এর আগে নুতন ইংরেজী-শিক্ষার দিনে মনে করতুম, ইংরেজী ভাষায় যে কথা লেখা আছে, সে কথা সম্বন্ধে কোন বিবেচনা করবার দরকার নেই-তার মধ্যে কোন লুকোচুরি থাকতেই পারে না। ইংরেজীর উপর সে শ্রদ্ধা যে কেটে গেছে তা নয়-উপরন্তু এখন সংস্কৃত বচন সম্বন্ধেও আমরা সেইরূপ শ্রদ্ধাবান হয়ে উঠেছি। যে কথা সাদা বাংলায় বল্পে আমরা তর্ক করি, সেই কথা সংস্কৃতে বল্পে আমরা BBuuB DBB DD DBBSS S BBBBB DBD DD DBDS g DBDD DDD সকলেই জানি, কিন্তু যখুন বক্তৃতাপ্রসঙ্গে শুনি সৰ্বমঅত্যন্তং গহিতম্, তখন আমরা অভিভূত হয়ে পড়ি, এবং গলদশ্র-লোচনে বলি-আহে! আহে ! সনাতন ভারতবর্ষের প্রাচীন ঋষিদের কি গভীর জ্ঞান ছিলতারা সেদিন যা বলে গেছেন, হাজার বছর পরে আজকেও সে কথার মূল্য অশেষ। বলা বাহুল্য, আমাদের কাছে চাণক্যও ঋষি হয়ে দাড়িয়েছেন। আজকাল যাঁরা রক্ষণশীল ও র্যারা পরিবর্তন চান, উভয়ই শাস্ত্রের দোহাই পাড়তে আরম্ভ করেছেন,-যেন যে জিনিসটা ভাল, সে শুধু নিজের জোরে ভাল হতে পারে না! আর শাস্ত্রও তা এক আধাখানা নয়—এখন আমাদের কাছে সংস্কৃত-গ্ৰন্থমাত্রই ধৰ্ম্মশাস্ত্র। এই পুথির শাসন থেকে আমরা কি কোনদিন মুক্ত হব না-একবার