পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AOV সবুজ পত্ৰ চৈত্র, ১৩২৩ ছাড়তে পারি না। পূর্ববঙ্গবাসী মুখে যাই বলুন না কেন, নাটক নভেল পড়তে হলে কলকাতার ভাষা জানা চাই, ও তারা যদি নিজের DBDD DBDB BDBD DBBDDD DDDBDDB uBDDBBD BBD BDDBB SS BB নাটকে আমবা পূর্ববঙ্গের ভাষা ব্যবহার করি তবে সেটা রঙ্গ-নাট্ট ছাড়া আর কিছুই হবে না। সে কাল গেছে যে দিন নভেলের Dialogue এতে লেখ্য-ভাষার ব্যবহার ছিল। বঙ্কিম বাবুও তাই করে গেছেন। এখন আর কেউ । তা’ করে না। যারা লেখ্য-ভাষার পক্ষপাতী, তাদের প্রণীত নভেল গুলিতেও তঁরা Dialogue-য়ে একমাত্ৰ কথা-ভাষাই ব্যবহার করে থাকেন। অথচ তঁরাই আবার বঙ্কিমী ভাষার দোহাই দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ নাকি আবার বলেছেন, কথ্য-ভাষার ব্যবহারে ভাষার গাম্ভীৰ্য্য ও সৌন্দৰ্য্য লুপ্ত হয়। কিন্তু তাদের একথা যে নিতান্তই ভুল, রবীন্দ্ৰনাথ, গিরিশচন্দ্র ও দ্বিজেন্দ্রলালের লেখার সঙ্গে বিশেষতঃ রবীন্দ্ৰনাথের ‘ঘরে বাইরে’র ভাষার সঙ্গে যারা পরিচিত, তঁরা অনায়াসেই বুঝতে পারবেন। তা ছাড়া উদার, গম্ভীর বা উদাত্ত ভাব যে কোন ভাষারই একচেটি জিনিস নয়-এ কথা তারা না। স্বীকার করুন, সকল দেশের সকল ভাষাবিৎরা স্বীকার করেছেন। যাক, আর এ সম্বন্ধে বেশী কথা বলে প্ৰবন্ধকে ভারি করতে চাই না। আমার উদ্দেশ্য ছিল, শুধু কথা-ভাষার প্রচলনে পূর্ববঙ্গবাসীদের কি কি ক্ষতি-বৃদ্ধি হতে পারে, তাই নিয়ে আলোচনা করা । ত’ ছাড়াও দু’একটি অন্য কথা বলে ফেলেছি। পাঠক ও সম্পাদক মহাশয় মাফ করবেন। শ্ৰীমুশীলকুমার দাসগুপ্ত। বরিশাল ।