পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ 3 b” সবুজ পত্ৰ ?bउ, »७२७ স্পর্শে বহু যে এক হয়, আর প্রাণের সম্পর্শে এক যে বহু হয়, এ সত্য প্ৰত্যক্ষ করা যায়। সেখানে শীতের রং তুষার-গেীর, সকল বর্ণের সমষ্টি ; আর বসন্তের রং ইন্দ্ৰধনুর, সকল বর্ণের বাষ্টি । তারপর নিদাঘের রং ঘন-সবুজ, আর শরতের গাঢ় বের্গনি। বিলেতি ঋতুর চেহারা শুধু আলাদা নয়, তাদের আসা যাওয়ার ভঙ্গীও বিভিন্ন। সে দেশে বসন্ত শীতের শব-শীতল কোল থেকে রাতারাতি গা কাড়া দিয়ে ওঠে, মহাদেবের যোগভঙ্গ করবার জন্য মদন-সখী বসন্তু যে-ভাবে একদিন অকস্মাৎ হিমাচলে আবিভূতি হয়েছিলেন। কোন ७क श्éङ८, शूभ८ङt c5ॉथं ८भ८5] săţe দেখা যায় যে, রাজ্যির গাছ মাথায় একরাশ ফুল পরে দাঁড়িয়ে হাসছে – অথচ তাদের পরণে একটিও পাতা নেই। সে রাজ্যে বসন্তরাষ্ট্ৰ ভঁর আগমনবাৰ্ত্তা আকাশের নীল পত্রে সাতরঙা ফুলের হরফে এমন স্পষ্ট, এমন উজ্জ্বল করে ছাপিয়ে দেন যে, সে বিজ্ঞাপন - মানুষুের কথা ছেড়ে দিন,-পশুপক্ষীরও চোখ ५6gिgश cयgड °itद्र न। ইউরোপের প্রকৃতির। যেমন ক্ৰমবিকাশ নেই, তেমনি ক্রমবিলয়ও নেই ; শরৎ ও সে দেশে কালক্রমে জরাজীর্ণ হয়ে, অলক্ষিতে শিশিরের কোলে দেহত্যাগ করে না। সে দেশে শরৎ তার শেষ উইল, পাণ্ডুলিপিতে “ নয়—ব্রাক্তাক্ষরে লিখে রেখে যায়, কেননা মৃত্যুর স্পর্শে তার পিত্ত নয়, --রক্ত প্ৰকুপিত হয়ে ওঠে। প্ৰদীপ যেমন নেভূবার আগে জ্বলে ওঠে, শয়তের তাম্রাপত্ৰও তেমনি বারবার আগে অগ্নিবৰ্ণ হয়ে ওঠে। তখন দেখতে মনে হয়, অস্পৃশ্য শত্রুর নিৰ্ম্মম আলিঙ্গন হতে আত্মরক্ষা করবার জন্য, প্ৰকৃতিসুন্দরী যেন রাজপুত রমণীর মত স্বহস্তে চিতা রচনা করে সোল্লাসে অগ্নি-প্ৰবেশ করছেন।