পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\Oy সবুজ পত্ৰ 2bá, ३७२७ এদানিক আমরা” লিখছি বেশী, কিন্তু বিশেষ কিছু লিখছি নে। আমাদের সাহিত্যগগনে নূতন কোন ও নক্ষত্রের উদয় হয় নি, এ অন্ধকারের গায়ে যে-সব আলোর ছিটেফোেটা এখানে ওখানে দেখা যায়-সে সব জোনাদির। বৰ্ত্তমান সাহিত্যরাজ্যে আমাদের যে কোনও কৃতীত্ব BDSiSTD BDBDD DBBBD BB S DDB D BD DD BDBL BOKES এ বিষয়ে আমরা শুধু অপরের কৃতীত্বের বিচার করতেই ব্যস্ত। একজন নামী ইংরাজ লেখক বলেছেন যে, সাহিত্যরাজ্যে দুটী যুগ আছে। সে রাজ্যে নাকি সৃষ্টির যুগ আর সমালোচনার যুগ দিন রাত্তিরের মত পালায় পালায় যায় আসে। এ নিয়ম যে নৈসৰ্গিক, তার কোনও প্রমাণ নেই। মানুষের মনকেও যে পৃথিবীর দেহের মত প্ৰকৃতির নিয়মে ক্ৰমাগত ওলট-পালট হতে হবে- এ কথা আমি মানি নে ; কেননা মানুষের অস্তরে ইচ্ছাশক্তি আছে, প্ৰকৃতির অন্তরে* নেই। তবুও তর্কের খাতিরে মেনে নেওয়া যাক যে, সাহিত্যরাজ্যের একটা যুগ আছে যখন মানুষে সাহিত্য গড়ে, এবং তার পরের যুগে মানুষে সেই সাহিত্য পড়ে ; কেননা সমালোচনার যুগেও, একমাত্র যুগধৰ্ম্মের। বলে,সাহিত্য না পড়ে তার চর্চা করা অসম্ভব। কিন্তু বৰ্ত্তমানের সমলোচকদের লেখা পড়ে, তারা যে কেউ কিছু পড়েন তার বিশেষ প্রমাণ পাওয়া যায় না। যা যথার্থ সাহিত্য, তার ধৰ্ম্মই হচ্ছে যে তা নানা লোকের মনে নানারকমে ঘা দেবে। সুতরাং সমালোচনাটা যখন একঘেয়ে হয়ে ওঠে-তখন ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, সমালোচকদের হয় পরের লেখার সঙ্গে, নয় নিজের মনের সঙ্গে পরিচয় নেই। বৰ্ত্তমানের এই সমালোচনা-সাহিত্য খতিয়ে মিলে দুটি মোটা কথা পাওয়া যায়,- এক বঙ্কিমচন্দ্রের স্তুতিবাদ, আর এক রবীন্দ্ৰনাথের নিন্দাবাদ । কথা