পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२व्र वर्ष, সপ্তম ན་འI། বৰ্তমান বঙ্গী-সাহিত্য Von বদ্ধমূল ধারণা এই যে, নানা যন্ত্র এক সুরে বেঁধে তাতে এক সুর বাজালেই ঐক্যতান হয়। আর্ট-জগতে এই অদ্বৈতবাদের হাত থেকে উদ্ধার না পেলে বঙ্গসাহিত্য মুক্তিলাভ করবে না, এবং যতদিন এ দেশে আবার নূতন চৈতন্যের আবির্ভাব না হবে, ততদিন আমরা এক কথাই একশ-বার বলব, কেননা সে কথা বলার ভিতরেও মন নেই, শোনার ভিতরেও মন নেই। তাই বলে আমাদের সকল লেখাপড়া একেবারেই অনর্থক নয়,- আমরা আর কিছু করি আর না করি, ভাবী গুণীর জন্য আসর জাগিয়ে রাখছি। পাঠক-সমাজকে ঘুমিয়ে পড়তে না ९शांpi९ ५dकी कभ कांड नम्र । আমরা সদলবলে সাহিত্য তৈরি করি আর না করি, সদলবলে পাঠক তৈরি কচিছ। পূর্বে যা বলা গেল, তা অবশ্য সকলের সমান মনঃপূত হবে না, কিন্তু এ কথা আপনার সকলেই স্বীকার করতে বাধ্য যে, যে ক্ষেত্রে লেখকের সংখ্যা অগণ্য, সে ক্ষেত্রে কোনও লেখক-এরগু সাহিত্য-দ্রুম স্বরূপে গ্ৰাহ হবেন না,-এ বড় কম লাভের কথা নয়। হাজার অপ্রিয় হলেও একথা সম্পূর্ণ সত্য যে, উনবিংশ শতাব্দীতে সাহিত্যের কোন কোন এরণ্ড এমন মহাবোধিবৃক্ষত্ব লাভ করেছিলেন যে, অদ্যাবধি বঙ্গ-সাহিত্যের পুবোনো পাণ্ডারা তাদের গায়ে সিঁদুর লেপে অপরকে পূজা করতে বলেন। অমুকে কি লিখেছেন কেউ না জানলেও, তিনি যে একজন বড় লেখক তা সকলেই জানেন- এমন প্লখিত-যশ ශ්‍රේෂීtiq সাহিত্যিকের দৃষ্টান্ত বঙ্গদেশে বিরল নয়।