পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tbR সবুজ পত্ৰ 。५,०७२२ থাকবার দরুন “বিদ্যাসুন্দর” বঙ্গসাহিত্যে পতিত হয়েছে, সেই সব বর্ণনা থাকা সত্ত্বেও কুমারসম্ভবের উত্তরভাগ সংস্কৃত-সাহিত্যে অতি উচ্চ আসন লাভ করেছে। আমাদের রুচিজ্ঞানের বিষয় হচ্ছে কাব্যের অর্থ-ষ্ঠাদের ছিল বাক্য। আমি অবশ্য এ কালের মনকে সে কালে ফিরে যেতে বলিনে, কেননা সে ফেরা সভ্যতা হতে অসভ্যতায় ফেরা হবে । তবে সত্যের খাতিরে আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে, এ বিষয়ে প্রাচীন আলঙ্কারিকদের মত সম্পূর্ণ ভুল নয়। সভ্যতা জিনিষটে অনেকটা ভাষার কথা । আমাদের সুরুচি আজও যে ভাষাগত তার প্রমাণ শিক্ষিত লোকে আজও গীতগোবিন্দ পড়ে মুগ্ধ হন ; ও-কাব্য সাদা-বাঙ্গলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় কি ? অলঙ্কারিকদের ঔচিত্য-স্তানের বিষয় যে কি তার সম্পষ্ট পরিচয় মহাকবি ক্ষেমেন্দ্রের একটি কথায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন যে, পায়ের বঁাকমল যদি গলায় পরা যায় তাহলে কণ্ঠের শোভা বৃদ্ধি হয় না। বরং যদি কিছু বৃদ্ধি হয় ত সে শ্বাসরোধের সম্ভাবনা । কোন কথা কোথায় বসে, কোন উপমা কিসে BBLS BBB BDD DBB DBDDBBDB DDD DDDSTg DDB DB তাদের আলোচ্য বিষয়। তারা সরস্বতীকে দেবীস্বরূপে জানতেন এবং মানতেন বলে তঁকে গৃহকৰ্ম্মে নিযুক্ত করবার বৃথা চেষ্টা । করেন নি। তঁরা এ জ্ঞান কখনও হারান নি, যে ধৰ্ম্মশান্ত্রের এবং : অলঙ্কারশাস্ত্রের অধিকার সম্পূর্ণ ভিন্ন। সমাজ-গঠন এবং সাহিত্যগঠনের উপায় এক হতে পারে না, কেননা এ দুয়ের উপাদানও স্বতন্ত্র, উদ্দেশ্যও স্বতন্ত্র -এ সত্য আমরা দুবেলা স্কুলে যাই।