পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৭৮ সবুজ পত্ৰ পৌষ, ১৩২২ অামার, আমি ত মরতেই বসেচি—তোমার সব বালাই নিয়ে যেন মরি—কামা হতে তোমার কোনো অপরাধ যেন না হয় । অমূল্যকে বহুম, তোমার পিস্তলটি আমাকে প্ৰণামী দিতে কি করবে দিদি ? মরণ প্র্যাকটিস করব । এই ত চাই দিদি, মেয়েদের ও মরতে হবে, মারতে হবে । এই বলে অমূল্য পিস্তলটি আমার হাতে দিলে । অমূল্য তার তরুণ মুখের দীপ্তি-রেখা আমার জীবনের মধ্যে নুতন উষার প্রথম অরুণ-লেখাটির মত একে দিয়ে গেল । পিস্তল টাকে বুকের কাপড়ের ভিতর নিয়ে বল্লম, এই রইল আমার উদ্ধারের শেষ সম্বল, আমার ভাইফেঁটার প্রণামী । নারীর হৃদয়ে যেখানে মায়ের আসন আমার সেইখানকার জানলাটি হঠাৎ এই একবার খুলে গিয়েছিল । তখন মনে হল এখন থেকে বুঝি তবে খোলাই রইল। " কিন্তু শ্ৰেয়ের পথ আবার বন্ধ হয়ে গেল, প্ৰেয়সী নারী এসে মাতার স্বস্ত্যয়নের ঘরে তালা লাগিয়ে দিলে । পরের দিনে সন্দীপের সঙ্গে আবার দেখা । একটা উলঙ্গ পাগলামি আবার হৃৎপিণ্ডের উপর দাড়িয়ে নৃত্য সুরু করে দিলে । কিন্তু এ কি এ । এই কি আমার স্বভাব ! কখনোই না । এই নিলাৰ্জকে এই নিদারুণকে এর আগে কোনো দিন দেখি নি। সাপুড়ে হঠাৎ এসে এই সাপকে আমার আঁচলের ভিতর থেকে বের করে দেখিয়ে দিলে—কিন্তু কখনই এ আমার আঁচলের