পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯১

OR সবুজ পত্ৰ मांथ, भ७२२ এরূপ ধৰ্ম্মমত থেকে কৰ্ম্মজীবনের কোনও নুতন ব্যবস্থা জন্মলাভ করতে পারে না । মেধাতিথি বলেন যে, যদি নিষ্কামধৰ্ম্মই সত্য হয়। তাহলে “ইন্দং আপতিতং ন কিঞ্চিৎ কেনচিৎকৰ্ত্তব্যং সর্বৈস্তুষ্ণীংভূতৈঃ স্থাতব্যম” । সুতরাং বৌদ্ধ জৈন প্রভৃতি ধৰ্ম্মের কোনও স্বতন্ত্র ব্যবহার শাস্ত্ৰ থাকবার কথা নয় এবং সম্ভবতঃ নেই । (8) একশ্রেণীর ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মতে আমাদের ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে Moralityর কোনও কথা নেই ; সে শাস্ত্রে যা আছে তা শুধু Law । অপর পক্ষে এইমতে বৌদ্ধশাস্ত্রে যা আছে তা শুধু Morality । এরূপ মত প্রচার করায় অবশ্য নিতান্ত একদেশদশীতার পরিচয় দেওয়া হয় । Moralityর সঙ্গে সম্পর্কহীন ধৰ্ম্মের প্ৰতিষ্ঠালাভ করা যেমন অসম্ভব, কেবলমাত্র Moralityর উপর ধৰ্ম্মপ্ৰতিষ্ঠা করাও তেমনি অসম্ভব। যদি কেবলমাত্ৰ হিতবাদের উপর ধৰ্ম্মস্থাপন করা সম্ভবপর হত তাহলে Mill এবং Comte ও পৃথিবীতে নুতন নূতন ধৰ্ম্মের। প্ৰবৰ্ত্তন করতে পারতেন, এবং বিশ্বমানবের সেবাধৰ্ম্ম এবং অনুশীলনের ধৰ্ম্ম প্রভৃতি আঁতুড়ে মারা যেত না । অপর পক্ষে ধৰ্ম্মশাস্ত্রে Morality নেই একথা বলায় Law এর সঙ্গে Moralityর সম্বন্ধ যে কত ঘনিষ্ঠ সে বিষয়ে অজ্ঞতার পরিচয় দেওয়া হয় । মেধাতিথি বলেন যে “ল্মার্কবৈদিকয়োনিত্যং ব্যতিষঙ্গাৎ পরস্পরম।” স্মৃতির সঙ্গে বেদের যে সম্বন্ধ, Law এর সঙ্গে Morality-রও সেই সম্বন্ধ । অর্থাৎ, এ দুই পরস্পর একান্ত জড়িত। ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে যে এ দুটি ৰত্ব পৃথক করা হয়নি তার কারণ এ শাস্ত্রের মুখ্য উদ্দেশ্য কৰ্ত্তীৰ্য