পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

IR 3, FN MENT निकांब्रु नत्र ग्रां* Ver.) উদয় হতে পারত--- অতএব যে-কোনও শিকারী সাহিত্যিক একটি বাক্যবাণে এ দুটি পাখীকেই বিদ্ধ করতে পারেন। বস্তুগত্যা আমাদের মন হচ্ছে হরীতকী জাতীয় ; শিক্ষার গুণে সে মন পাকে না,-শুধু শুকিয়ে যায় । সুতরাং বাঙ্গলার অশিক্ষিত স্ত্রীলোক ও শিক্ষিত পুরুষ,- এ দুয়ের মনের ভিতর প্রভেদ এই যে, এর একটি কঁচা আর অপরটি শুকনো । দেশসুদ্ধ লোক সেই শিক্ষা চান যে-শিক্ষার গুণে স্ত্রীপুরুষ সকলের মন সমান শুকিয়ে ওঠে । কেননা, হরীতকী যত বেশি শুকোয়, যােত বেশি তিতে হয় তত বেশি তা উপকারী হয় । অপর পক্ষে রবীন্দ্ৰনাথ সেই শিক্ষার সন্ধানে ফিরছেন যে শিক্ষার প্রভাবে আমাদের মন-হরিতক পেকে উঠবে এবং যার আস্বাদ গ্ৰহণ করে স্বজাতি অমরত্ব লাভ করবে। এ ক্ষেত্রে দেশের শিক্ষিতসম্প্রদায়ের সঙ্গে রাধান্দ্ৰনাথের মতের মিল হবার কোনও সস্তাবনা নেই- কেননা উভয়ের আদর্শ সম্পূর্ণ বিভিন্ন । আমাদের পক্ষে কি শিক্ষা ভাল তা নির্ণয় করবার পূর্বে আমরা কি হতে চাই সে বিষয়ে মনস্থির করা আবশ্যক ;-কেননা একটা স্পষ্ট জাতীয় আদর্শ না থাকলে, জাতীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে না । ধরুন যদি অশ্বত্ব-লাভ-করা গর্দভদের জাতীয় আদর্শ করে তোলা যায়, তাহলে অবশ্য সে জাতির শিক্ষকেরা তাদের জন্য পেটলের ব্যবস্থা করবেন-তােপর পক্ষে গর্দভত্ব লাভ করা যদি , অশ্বদের জাতীয় আদর্শ করে তোলা যায় তাহলে সে জাতির শিক্ষকেরাও তাদের জন্য ঐ পেটলেরই ব্যবস্থা করবেন। হয় গাধা-পিটে-ঘোড়া, নয় ঘোড়া-পিটে-গাধা করাই যে শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য সাধারণতঃ এইটেই হচ্ছে লোকের ধারণা । এবং