পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ वर्ष, दांगर्भ ग९था চার-ইয়ারি কথা তেমনি ভাবে চলতে চলতে যখন লাল রাস্তার পাশে এসে পড়লুম। তখন দেখি দূরে যেন একটি ছায়া পায়চারি করছে। আমি সেই-দিকে এগুতে লাগলুম। ক্ৰমে সেই ছায়া শরীরী হয়ে উঠতে লাগল ; সে যে মানুষ সে-বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ রইল না। আমি তার দিকে এগুতে লাগলুম। যখন অনেকটা কাছে এসে পড়েছি তখন সে পথের ধারে একটি বেঞ্চিতে বসল। আরও কাছে এসে দেখি, বেঞ্চিতে যে বসে আছে সে একটি ইংরাজ-রমণী-পূর্ণযৌবন অপূর্বসুন্দরী ! এমন রূপ মানুষের হয় না। ;- সে যেন মুৰ্ত্তিমতী পূর্ণিমা ! আমি তাব সমুখে থমকে দাড়িয়ে নিৰ্ণেমেষে তার দিকে চেয়ে রইলুম। দেখি সেও একদৃষ্টে আমার দিকে চেয়ে রয়েছে। যখন তার চােখের উপর আমার চোখ পড়ল তখন দেখি তার চোখদুটি আলোয় জ্বলজ্বল করছে ; মানুষের চোখে এমন জ্যোতি আমি জীবনে আরকখনও দেখি নি ! সে আলো তারার নয়, চন্দ্রের নয়, সূৰ্য্যের নয়, --বিদ্যুতের। সে আলো জ্যোৎসাকে আরও উজ্জ্বল করে তুললে, চন্দ্রালোকের বুকের ভিতর যেন তাড়িত সঞ্চারিত হল। বিশ্বের সূক্ষমশরীর সেদিন একমুহূৰ্ত্তের জন্য আমার কাছে প্ৰত্যক্ষ হয়েছিল। এ জড়জগৎ সেই-মুহূৰ্ত্তে প্ৰাণময় মনোময় হয়ে উঠেছিল। আমি সেদিন ইথারের স্পন্দন চৰ্ম্মচক্ষে দেখেছি ; আর দিব্য-চক্ষে দেখতে পেয়েছি যে আমার আত্মা ইথারের সঙ্গে একফরে একতানে স্পন্দিত হচ্ছে। এ সবই সেই রাত্তিরের সেই আলোর মায়া । এই মায়ার প্রভাবে শুধু বহির্জগতে নয়, আমার অন্তর-জগতেরও সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটেছিল। আমার দেহমান মিলে C