পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা নবীন সাহিত্যিক গড়ে ওঠে, আর যেখানে যা নিষিদ্ধ হওয়া দরকার, সেখান থেকে তা উঠে যায় যাতে, এমনতর শিক্ষার সূত্রপাত এবং অনুষ্ঠান যে, দেশের মনিষিগণের লক্ষ্য হওয়া উচিত—এ কথা সজ্ঞানে অস্বীকার করা চলে । কিন্তু মানুষের অভাব এত বহুবিধ, প্রতিভা এত বহুমুখী আর প্রকৃতি এতই বিচিত্র যে দেশের সমুদয় সাহিত্য প্রচেষ্টাই যে সেই একই সাধারণ সূত্রের অনুবৰ্ত্তী হবে—এমন আশা করাও সমীচীন হবে না। সাহিত্য আর সমাজে ত’ গুরুশিষ্য সম্বন্ধ নয়। সাহিত্য রসিকের সাথে সমপ্রাণতা স্থাপনাই হয়েছে সাহিত্যিকের চিরদিনের লক্ষ্য। নিবিড় আলিঙ্গনে পাঠকের প্রাণে প্রাণে অনুভূতির আনন্দ এবং সম- বেদনার আবেগ ছড়িয়ে দেওয়াই ত’ সাহিত্যিকের কাজ। যে নব চেতনার উৎস সাহিত্যিকের প্রাণে উচ্ছ্বাসিত হয়ে ওঠে, ভাষার সহায়তায় তাকে দিকে দিকে দেশে দেশে প্রেরণই হয়েছে সাহিত্যিকের সাধনা যে ভাবনায় সাহিত্যিক বিভাের তা অপরের পক্ষে অভাবনীয় নয়, অচিন্ত্যও নয়; এমন কি অনেকের কাছে অননুভূত পূৰ্বও না হতে পারে !–এই ভরসাই ত সাহিত্যিককে মুখর করে তােলে। নিজের অনুভূতিকে পরের কাছে যাচাই করবারও যে একটা আগ্রহ আছে! সেই আগ্রহের ঐকান্তিকতাতেই ত’ সাহিত্য-সাধকের মানস- মুৰ্ত্তি তার লেখার ভিতরে বিকশিত হয়ে ওঠে। লেখক সেখানে গুরু নয়, উপদেষ্টা নয়-সখা ! লেখক আর পাঠক উভয়েই সেখানে সাহিত্য-সেবী। লেখক আর পাঠকের এই যে ঐক্যবিধান এই খানেই সাহিত্যের সার্থকতা । সাহিত্য থেকে যদি কখনাে সমাজের কোন “উপকার হয় তা হলে তা এই পথেই আসবে। তার