পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা পত্র আত্মার জয় যে দেহের জয়ের উপর নির্ভর করে এ সংস্কার অবশ্য আমাদের নেই। আমাদের ধারণা দেহের পরাজয়েই আত্মার জয়। কিন্তু অৰ্ম্মাণনা উল্টো বােঝে। এই দেহাত্মবাদীদের মতে বাহুবলই আত্মবল। তাই তােপের মুখ দিয়ে তারা তাদের culture প্রচার করতে চায়। এ দেশের আর্ষ-সমাজের আমিষের দল নিজেদের বলেন, culture party কিন্তু নিরামিষের দল তাঁদের বলেন vulture party। ইউরােপের আর্য-সমাজেও জৰ্মাণ হচ্ছে নিজেদের মতে culture-এর দল, এবং অপরের মতে vulture-এর দল। অৰ্ম্মাণ-ইগল যে মহা-শকুন, এ দত্ত জৰ্মাণরাও করে থাকেন। অতএব এ যুদ্ধ যে, জৰ্মাণীর culture ওরফে vulture-এর বিরুদ্ধে বিশ্বমানবের আত্মরক্ষার যুদ্ধ, এ কথা মেনে নিতে কোন আপত্তি নেই। তবে এ যুদ্ধ মানুষের স্বাধীনতার যুদ্ধ বলেই যে মানুষের শেষ যুদ্ধ-–এরূপ অনুমান করবার কোনও কারণ নেই। এ যুদ্ধের ফলে যদি বিশ্বমানবের স্বাধীনতার সত্ত্বসাব্যস্ত হয়ে যায়, তারপর আর একটা যুদ্ধ হবে, বিশ্বমানবের সাম্যের সত্ত্বসাব্যস্তের জন্য—তারপর আর একটা যুদ্ধ হবে বিশ্বমানবের মৈত্রির জন্য। সেইটে হবে শেষ যুদ্ধ, কেননা তারপর পৃথিবীতে যুদ্ধ করবার আর কোনও লােক থাকবে না। এবং সেই সুযােগে বুদ্ধদেবের শেষ অবতার ভগবান মৈত্রেয় ভূভারতে অবতীর্ণ হবেন। থিওজফিষ্টরা যে ঘােষণা করূছেন যে, তিনি ইতিমধ্যে দক্ষিণ-মথুরায় ভূমিষ্ঠ হয়ে এখন গােকুলে বাড়ছেন—সে সুসমাচার মােটেই বিশ্বাস্য নয়। তুমি ভাবছ যে আমি নেহাৎ বাজে বকছি। অবশ্য তাই করছি। এ যুদ্ধের নাম মুখে আনবা মাত্র, মানুষে যে বেজায় বাজে বকতে আরও ১৪