পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৪ সবুজ পত জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৫ লড়াই। ক্লাসিক ফ্রান্স তার সীমান্ত রেখা বজায় রাখতে চেষ্টা করছে—রােমান্টিক জৰ্ম্মাণি তার নিজের সীমা অতিক্রম করতে চেষ্টা করছে। শুধু দেশের সীমা নয়, অৰ্মাণী ইতিমধ্যেই নীতির সীমা, লজিকের সীমা, সামাজিকতার সীমা, এক কথায় সভ্যতার সকল সীমা হুঙ্কার ছেড়ে এক লম্ফে অতিক্রম করেছে। জৰ্মাণীর জাতীয়-আত্মাকে ঠেলেঠুলে এখন যদি তার স্বদেহে অর্থাৎ স্বদেশে পােরা না যায় তাহলে পৃথিবীতে সভ্যতা বলে আর কোনও জিনিস থাকবে না। কেননা সভ্যতা হচ্ছে মানুষের জীবন ধারণের আর্ট–অতএব তা বাইরের ও ভিতরের নানাবিধ সীমারেখায় আবদ্ধ। সভ্যতা জিনিসটেই ক্লাসিক এবং ইউরােপের ল্যাটিন জাতিই তার যথার্থ উত্তরাধিকারী। আশা করি তারা সে অম্বয়াগত সম্পত্তি বর্বরতার হাত থেকে এ যাত্রা রক্ষা করুতে পারবে। ও বস্তু রক্ষা করবার অন্তত প্রাণপণ চেষ্টা করা যে সভ্য-সমাজের কর্তব্য, সে বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই। ছেলেবেলায় সংস্কৃত ক্লা। পড়েছি যে হর্ষবর্ধন—“হুন'ন হন্তু প্রতিচ্যাং দিশিং জগাম”। হর্ষচরিতের ঐ একটি টুকরােই আমার মনে আছে—কেননা সে বয়েসেও বর্বরতার বিরুদ্ধে সভ্যতার ঐ অভিযানের জীবন্ত ছবি আমার চোখের মুখে ফুটে উঠেছিল এবং আজও তার রঙ জ্বলে যায়নি। বর্বরতার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হওয়াটাই সভ্যতার সব চেয়ে সুন্দর দেহভঙ্গি। জানি, এ সব কথা শুনে লােকে বলবে—“বীরবলের কথা ছেড়ে দাও-ও ত মার্কামারা ফরাসি-ভক্ত।” এ খ্যাতি প্রত্যাখ্যান করতে আমি কিছুমাত্র ব্যর্থ নই। লােকে বলে আমার শরীরে ভক্তির লেশ নেই, অতএব আমার ফরাসি-ভক্তির খ্যাতি, “খােল খবরের ঝুটোও