পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ , তৃতীয় সংখ্যা নব-বিদ্যালয় প্রধান অঙ্গ। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপদেশ দিয়ে নীতিশিক্ষা দেওয়ায় মােটেই বিশ্বাস করেন না। তারা বলেন, বহুকালের অভি জ্ঞতার ফলে একথা তারা জোর করে বলতে পারেন যে, নীতির উপদেশ দেওয়াটা যে শুধু ব্যর্থ তাই নয়, ছেলেদের পক্ষে তা বিশেষ ক্ষতিকর। ওতে শুধু একটা নতুন দুর্ণীতির শিক্ষা দেওয়া হয়, এবং তার নাম হচ্ছে “নৈতিক জ্যাঠামি।” এদের মতে নৈতিক জীবনের মুলে আছে Collective sense,—অর্থাৎ সেই জ্ঞান, যার ফলে প্রতি লােক নিজেকে সমাজদেহের একটি অঙ্গ বলে মনে করে। এবং যে উপায়ে এই জ্ঞান, এই অনুভূতি বাড়ানাে যেতে পারে, সেই উপায়ই হচ্ছে নৈতিক শিক্ষার যথার্থ উপায় ;-বক্তৃতা নয়, মারপিট নয়। এই সব খেলার ভিতর দিয়ে ছেলেরা নিয়মের মাহাত্ম্য বুঝতে শেখে, দশজনের সঙ্গে একাত্ম হতে শেখে, কাৰ্য উদ্ধারের জন্য স্বেচ্ছায় স্বার্থপরতা ত্যাগ করুতে শেখে। অতএব ফুটবল প্রভৃতি খেলা সকল ছেলেরই শুধু দেহের নয়, আত্মার উন্নতি লাভের জন্য খেলা কর্তব্য। আইন মুখস্থ করতে নয়, স্বেচ্ছায় মানতে শেখবার সূত্রপাত ঐ খেলার মাঠেই হয়। নীতিপাঠ নয়, ( ১০ ) খেলার পর আসে দৌড়ঝাপ-ইংরাজিতে যাকে বলে sports। খেলার সঙ্গে এর প্রভেদ এই যে, শরীরের এক একটি বিশেষ ক্রিয়ার এই উপায়ে অনুশীলন করা হয়। দৌড়নাে লাফানাে সকল খেলারই অঙ্গ, কিন্তু কি দৌড় কি লাফ কোনও খেলারই একমাত্র অথবা মুখ্য