পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪) এ পর আষাঢ়, ১৩২৫ সে হাত পা মানুষে মনের খুসিতে নাড়ে। ব্যায়ামটা পুরােপুরি শরীরের শিক্ষা হলেও—ঐ সঙ্গে শরীর-বিজ্ঞানেরও মােটামুটি কথা নববিদ্যালয়ের ছেলেরা শেখে। অধ্যাপক ফারিয়ার মতে খেলাধুলাে, দৌড়ঝাঁপ, ব্যায়াম, প্রাণায়াম সবই খালি গায়ে করা কর্তব্য। এর সার্থকতা যে কি, তা আমি বলতে পারিনে, ডাক্তারে বলতে পারেন। তবে এ গরম দেশে দেহমুক্ত করূলে আমরা যে মুক্তিলাভ করি, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই। ( ১২ ) ছেলেদের হাতের কাজ শেখানো যে শিক্ষার একটা প্রধান অঙ্গ, এই হচ্ছে একালের শিক্ষা-বৈজ্ঞানিকদের একটা পাকা মত। নব- বিদ্যালয়ে ছেলেদের মুর্তি গড়তে, নক্সা আঁকতে, বই বাঁধতে, বেত বুনতে, কামার কুমাের ও ছুতোরের কাজ শেখানো হয়। অধ্যাপক ফারিয়া বলেন, এ শিক্ষার উদ্দেশ্য ছেলেদের কামার কুমাের ছুতাের প্রভৃতি বানানো নয়। তার মতে এ সব শিক্ষার প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে দেহকে সক্ষম ও সক্রিয় করা। কর্মের প্রবৃত্তি ছােট ছেলের দেহ ও মনে অতিমাত্রায় থাকে। তারা একটা কিছু না করে, দু’দণ্ড স্থির থাকতে পারে না। এই কৰ্ম্মপ্রবৃত্তিকে সুপথে চালানাে শিক্ষকের একটি প্রধান কর্তব্য। এ সব কাজে হাত দিয়ে ছেলেরা যে শুধু আনন্দ পায় তাই নয়, সেই সঙ্গে তারা যে হস্তকৌশল লাভ করে, জীবনের সকল ক্ষেত্রেই তার যথেষ্ট প্রয়ােজন ও সার্থকতা আছে। দ্বিতীয়ত, এই সব কাজের চর্চায় তাদের বুদ্ধিবৃত্তির বিশেষ চর্চা হয়।