পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ সবুজ পত্র আষাঢ়, ১৩২৫ পড়াও কেন, Cowper পড়ে লাভ কি তখন ভেবে কুল পাই নে। তবু মনে একটা ক্ষীণ আশা থাকে যে পুরােনাে নােট দেখলে Cowper's place in the English literature 981 9761 কিছু পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু যদি কোন অস্বাভাবিক কৌতুহলী ব্যক্তি প্রশ্ন করেন যে শিক্ষার প্রয়ােজন কি শিক্ষার আদর্শই বা কি, তখন হঠাৎ মুখ দিয়ে বেরোয় প্রকৃত শিক্ষা যে কি মুল্যবান বস্তু তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না, শিক্ষাই মানুষকে নিম্ন-প্রাণীদের সহিত পৃথক করাইয়া দেয় ইহা চোরে চুরি করিতে পারে না” ইত্যাদি। ছাত্রদের প্রবন্ধ সংশােধন করতে গিয়ে এ কথাটা এতবার বলেছি যে ও-কথাটা বলে থাকা একটু কষ্টকর। কিন্তু শিক্ষা কমিশনের মর্জির কথা বলা যায় না। তারা হয়ত ঠিক এ রকম উত্তর চান নি এই সন্দেহে আমরা অন্য উত্তর দেওয়াই স্থির করলুম। নিজেদের শিক্ষার কথা স্মরণ করে শিক্ষার উপর আমাদের কোনই শ্রদ্ধা ছিল না, তা ছাড়া দেখেছি যে শিক্ষার ফলে আর যাই হোক সকলের ভাগ্যে গাড়িঘােড়া চড়া চলে না। অতএব বল্লুম—আর কিচ্ছ, নয়, আমাদের দেশে এই কাব্য সাহিত্য দর্শন, abstract science, প্রভৃতি যা পড়ান হচ্ছিল তা বন্ধ করে দাও, এতে কোন লাভই হয় না। এই সমস্ত স্কুল কলেজ উঠিয়ে দিয়ে কেবল technical college কর এবং সবাইকে জোর করে technical science শেখাও দেশ খেয়ে বাঁচবে; কলকাতার বাড়ীওয়ালার তাগাদা সহ্য করতে হবে না এবং মেয়ে বিয়ে দিতে কষ্ট পাবে না। যারা এই রকম উত্তর দিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেক বৈদান্তিক, দার্শনিক, সাহিত্যের অধ্যাপক, নীতিশিক্ষার উৎসাহী এবং মােটামুটি আধ্যাত্মিক ব্যক্তি আছেন।