পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা নব-বিদ্যালয় sa খুব পেট্রিয়টিক হতে পারে, কিন্তু মােটেই কাজের নয়; কেননা শিক্ষা দীক্ষায় অগ্রসর হওয়ার একমাত্র উপায় যে পশ্চাৎপদ হওয়া, এ বিশ্বাস যাদের আছে তারাও সে বিশ্বাস অনুসারে নিজেরা কাজ করতে প্রস্তুত ন। সভা-সমিতিতে স্কুলকলেজের উপর ঝাল ঝেড়ে আমরা নিজেদের ছেলেদের আবার সেই স্কুলকলেজেই পাঠাই। ফল কথা এই যে, যে ভাবে শিক্ষা চলছে সে ভাবে তা চলা উচিত নয়-এ কথা বলায় ততক্ষণ কোনই লাভ নেই, যতক্ষণ না কি করে তা চালানাে উচিত, সে কথা আমরা বলতে পারি। সে কথা যে আমরা বলতে পারি নে, তার কারণ শিক্ষা সম্বন্ধে আমরা যেমন অজ্ঞ তেমনি উদাসীন ইউরোপেও আজকাল সে দেশের সনাতন শিক্ষা-পদ্ধতির প্রতি অনেকেই অসন্তুষ্ট। সেই অসন্তোষের ফলে বেলজিয়ম, জৰ্ম্মাণী, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশে গুটিকয়েক নব-বিদ্যালয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এই বইখানিতে এর মধ্যে একটি স্কুলের শিক্ষার প্রকরণ-পদ্ধতির আমূল বিবরণ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এতে যা আছে তা মামুলি স্কুলের আনাড়ি সমালোচনা নয়। আসলে এতে সরকারি শিক্ষার এক বর্ণও সমালােচনা নেই। গ্রন্থকার স্বয়ং একটি নব-বিদ্যালয়ের স্রষ্টা এবং সর্বেসর্বা কর্তা। তিনি সুইজারল্যাণ্ডের শিক্ষকমণ্ডলী কর্তৃক অনুরুদ্ধ হয়ে, তার স্কুলের উদ্দেশ্য এবং উপায় সম্বন্ধে মুখে যেসকল কথা বলেছেন, সেই সকল কথা একত্র করে পুস্তকাকারে প্রকাশ করা হয়েছে।