পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১৩২৫ কিন্তু প্রাণকে কৈবল্য পাইয়ে দেবার পথে একটি মস্ত বাধা সৃষ্টি করে রেখেছেন স্বয়ং ভগবান। সেটি হচ্ছে জীবজগতের আত্মরক্ষার দুর্বার ইচ্ছinstinct. এখন আমরা পুরাতনকে সনাতন করে রাখতে পারব কি না, তা নির্ভর করবে মানুষের এই আত্মরক্ষার instinct এবং সাহিত্যের জাতরক্ষা অভিলাষী সমালােচকের বুদ্ধিবিচার-এ দুয়ের মধ্যে কে জয়ী হবে, তার উপরে। এ দু’য়ের মধ্যে যে সংগ্রাম-সে সংগ্রামের ফলাফল সম্বন্ধে আমাদের কিন্তু বিন্দুমাত্র সন্দেহ বা ভয় নেই। প্রাণের জোরে বুদ্ধিকে একদিন উদার হয়ে উঠতেই হবে। তখন সে বুঝবে যে একটা জাতির প্রতিভা যে সাহিত্য গড়ে তোলে, তাই তার জাতীয় সাহিত্য। নইলে শেক্সপীয়র শেলী ও ‘শ তিন জনের রচনাই ইংরেজী-সাহিত্য বলে গ্রাহ হত না। কারণ এঁদের তিন জনের মধ্যে যেটুকু মিল আছে সেটুকু হচ্ছে এই যে, তিন জনের রচনাই ইংরেজি ভাষায় লেখা। এ ছাড়া আর যদি কিছু মিল থাকে তবে বুদ্ধির চোখে দূরবীণ লাগিয়েও সে মিলটা ধরা যায় কি না সন্দেহ। ( ২ ) আসল কথা হচ্ছে এই যে, কোন জাতিরই জাতীয় সাহিত্যের জাত বলে কোন বস্তু নেই, সুতরাং তা রক্ষা করবারও কোন সমস্যা নেই। একটা গতি যতদিন ধরে বেঁচে থাকে, ততদিন ধরে তার সাহিত্যই রচিত হতে হতে চলে। যুগে যুগে একটা জাতির মনের কথা প্রাণের ব্যথা হৃদয়ের সুখ দুঃখ আবেগ আকার পরিবর্তন নানা নৈসর্গিক ও