পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা ছোট গল্প 8vo হই নি, চেহারা দেখে চমকে গিয়েছিলুম। এ দেশে ঢের শ্যামবর্ণ লোক আছে , যারা অতি সুপুরুষ, কিন্তু এই হাঁটকোট ধারী যে কোন জাতীয় জীব তা বলা কঠিন। মানুষের সঙ্গে ভাটার যে কতটা সাদৃশ্য থাকতে পারে ইতিপূর্বে তার চাক্ষুস পরিচয় কখনই পাই নি। সেই দৈর্ঘ্য প্রস্থে প্ৰায় সমান লোকটির, গা হাত পা মাথা চোখ গাল সবই ছিল গোলাকার। তারপর তাঁর সর্বাঙ্গ তার কোট পেণ্টালুনের ভিতর দিয়ে ফেটে বেরুচ্ছিল। কোট পেণ্টালুন, কাপড়ের,-ৰ্তর দেহ যে তঁর চামড়া ফেটে বেরয় নি, এই আশ্চৰ্য্য। তঁকে দেখে আমার শুধু কোলাবেঙের কথা মনে পড়তে লাগল, আর আমি হঁা করে তঁর দিকে চেয়ে রইলুম। যা অসামান্য তাই মানুষের চোখকে টানে, তা সে সু-রূপই হোক আর কু-রূপই হোক। একটু পরেই আমার হেঁস হল, যে ব্যবহারটা আমার পক্ষে অভদ্রতা হচ্ছে। আমনি আমি তার সুগোল নিটোল বাপু থেকে চোখ তুলে নিয়ে অন্য দিকে চাইলুম। অন্ধকারের পর আলো দেখলে লোকের মন যেমন এক নিমিষে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, আমারও ঠিক তাই হল। এবার যা চোখে পড়ল, তা সত্য সত্যই আলো- সে রূপ, আলোর মতই উজ্জ্বল, আলোর মতই প্ৰসন্ন । Mr. Day-র সঙ্গে দুটি কিশোরীও যে গাড়ীতে উঠেছিলেন, প্ৰথমে তা লক্ষ্য করি নি। এখন দেখলুম। তার একটি Mr. Day-র ঈষৎ ংক্ষিপ্ত শাড়ী বাধাই সংস্করণ । এর বেশি আর কিছু বলতে চাইনে । Weismann & বলুন বাপের রূপ সন্তানে 6न्ध्र, ऊ| cन-द्र° সোপার্জিতই হোক আর অন্বয়াগতই হোক। অপরটির রূপ বর্ণনা করা আমার পক্ষে অসাধ্য ; কেননা আমি পুর্বেই বলেছি যে, আমার চোখে ও মনে সেই মুহুর্তে যা চিরদিনের মত ছেপে গেল, সে হচ্ছে