পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা নব-বিদ্যালয় 29 প্রয়ােজন মনে করেন, এবং উঁচুদরের ছবি দেখতে হলে, উঁচুদরের গানবাজনা শুনতে হলে, সহর ব্যতীত গত্যন্তর নেই। দেশের বড় বড় বক্তাদের বক্তৃতা শােনাও এঁদের মতে শিক্ষার একটি প্রধান উপায়। ছেলেরা বড় হলে যে-সামাজিক জীবনে প্রবেশ করবে, সেই সামাজিক জীবনের সকল উচ্চ অঙ্গের সঙ্গে ছেলেবেলা থেকেই তাদের সাক্ষাৎ পরিচয় করিয়ে দেওয়া দরকার। ছাপার অক্ষরের ভিতর দিয়ে সে পরিচয় ঘনিষ্ঠ হয় না। সংক্ষেপে, প্রফেসার ফারিয়ার বক্তব্য এই যে,-একদিকে যেমন সামাজিক জীবনের যত কিছু কদৰ্য্যতা ও হীনতা সহরে পুঞ্জীভূত হয়েছে, অপর দিকে তেমনি সে জীবনের যত কিছু সৌন্দৰ্য্য ও মহত্ত্ব ঐ সহরেই কেন্দ্রীভূত হয়েছে। সুতরাং সহরের পাপ ও কদর্যতা থেকে ছেলেদের দূরে রাখবার জন্য ছেলে- দের সহরের বাইরে রাখা যেমন দরকার; সভ্যতার মহত্ত্ব ও ঐশ্বর্য্যের সঙ্গে তাদের সম্বন্ধ ঘনিষ্ঠ করবার জন্য ছেলেদের সহরের সন্নিকটে রাধাও তেমনি দরকার। আর এক কথা। আমি পূর্বে বলেছি যে, স্বাধীনতাই হচ্ছে নব- বিদ্যালয়ের মূলমন্ত্র। তাই এ শ্রেণীর স্কুলের শাসনতন্ত্র হচ্ছে স্বায়ত্ত শাসন। স্কুলের শাসন সংরক্ষণ সবই ছেলেদের হাতে,—এমন কি ছেলেদের পঞ্চায়তে মাষ্টারদের কোনই স্থান নেই। প্রফেসার ফারিয়া এই ছাত্ৰশাসনতন্ত্রের লম্বা বর্ণনা করেছেন। সে সব কথা বারান্তরে বলব। এ ক্ষেত্রে এইটুকু বলা দরকার যে, স্বায়ত্ত শাসন বজায় রাখবার জন্য স্কুলের পক্ষে সহরের কাছ ঘেসে থাকা দরকার। কেনাকাটি হাটবাজার ত ছেলেদেরই করতে হয়—তা ছাড়া দরকার পড়লে উকীলের পরামর্শ, এঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নেওয়া প্রভৃতি প্রাপ্ত