পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা একটি সত্যি গল্প Vos সে দিন সূৰ্য্য ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কল্পশেখর বাতাসের গায় তাজা পদ্ম ও ভিজে শেওলার গন্ধ পেলে। কল্পশেখর বুঝল যে গন্ধৰ্ব যে হ্রদের কথা বলছিল। সে হ্রদ আর বেশি দূরে নয়-তার যাত্ৰ শেষ হবার আর বেশি বিলম্ব নেই। কল্পশেখর দ্রুত পদে চলতে লাগল। যখন চারদিক আধার হয়ে এল তখন সে হ্রদের তীরে এসে পৌঁছিল। চারদিকে চেয়ে সে হ্রদের উত্তর তীরে একটা প্ৰকাণ্ড গাছ দেখতে পেলে। বুঝলে এই সেই শালালী তরু। কল্পশেখর হ্রদের তীর দিয়ে গিয়ে সেই শাল্মলী তরুর মুলে পৌঁছিল। তারপর তারি নীচে বসে’ পড়ল। চারদিক তখন নিবিড় কালো আধারে ঢেকে গেছে-গভীর নিস্তব্ধতায় ভরে উঠেছে । আলকাৎরার চাইতেও কালে সে অাধার, মৃত্যুর চাইতেও গভীর সে নিস্তব্ধতা। এমনি আঁধারের মাবে, এমনি নিস্তব্ধতার মাকে কল্পশেখর বসে’ বসে’ হাজার চিন্তার জালে তার মনটাকে জড়াতে লাগল। কল্পশেখরের তা আজ যাত্ৰা শেষ । কিন্তু তরুণী !-কোথায় সে ? সে কি এই কঠিন বন্ধুর পথ অতিক্রম করে আসতে পারবে এই তার গম্য-স্থানে-এই তার কাম্য-স্থানে ? পথে কত বিপদ কত আপদ অতিক্রম করে” না কল্পশেখর আজ এই হ্রদের তীরে কত বর্ষ পরে পৌছেচে-ওঃ কত বর্ষ-সে যেন স্বষ্টির আগে হতেসারাজীবন যেন সে পথই চলেছে-এই সাহস এই ধৈৰ্য্য কি তরুণীর श्gद ?-G8-डअभि-उद्रभि । সহসা সেই গভীর নিস্তব্ধতা বিভিন্ন করে” কার পায়ের শব্দ কল্প শেখরের কানে এসে বাজল। কল্পশেখর উৎকৰ্ণ হয়ে সেই দিকে 8