পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, যষ্ঠ সংখ্যা 어과 రిరిసి DDDB KDBDB BDS DuD LLLD BDD BBBB BDBBD DBBBBEtD DDDB DS অপর কিছু লিখতে গেলেই কলমধারীদের সঙ্গে আমার কাজিয়া বাধে। কেউ ডান গালে চাটি মারলে, বা গালটি যে অমনি বঁায়া করে দিতে হবে, এ মন্ত্রে আমি দীক্ষিত হই নি । আমাদের দেশে যারা লেখনী ধারণ করেন, তঁরা প্রায়ই দেখতে পাই লেখক না হয়ে সমালোচক হতেই ব্যস্ত। সংস্কৃত লৌকিক ন্যায়ে বলে, প্ৰদীপ দিয়ে ঘর আলো করাই সঙ্গত, চালে আগুন লাগিয়ে দেওয়া অসঙ্গত। সেকালের জনসাধারণ যে কথাটা জানত, একালের শিক্ষিত সমাজ তা ভুলে না গেলে, মনের প্ৰদীপের আমরা এর চাইতে সদ্ব্যবহার করতে পারতুম। আমরা যে তা করিনে, তার কারণ-আমরা আলোর চাইতে আগুনকে চিনি বেশি। ফলে, যে কথায় মনে আলো ফেলে, তার চাইতে যে কথায় বুকে আগুন জ্বলে, এদেশে তার বাজার-দর ঢের বেশি। কাজেই বাজে কথা বকতে হয় । s তর্কের খাতিরে মেনে নেওয়া যাক যে, আমাদের পক্ষে এখন প্রধান দরকার হচ্ছে—প্ৰাণের তেজ বাড়ানো। আমাদের সুক্ষম শরীরের উত্তাপটা যে এখন subnormal-একথা আমিও অস্বীকার করি নে। তবে আলোর ভিতরে যে আগুন নেই, এ সত্য কোন হাতে ধরা পড়েছে ? রক্তমাংসের হাতে তা নয়ই। রসিকতাকে পাঁচজনে এত নীচু নজরে দেখে কেন ? লোকের বিশ্বাস হাসির আলোর গায়ে চমক আছে, কিন্তু তার অস্তরে কোনও শক্তি নেই ; অর্থাৎ বিদ্যুতের অন্তরে বীজ নেই। বলা বাহুল্য, এ হচ্ছে তঁাদেরি মত, যারা যে বস্তু স্পর্শ করতে পারেন না তার গুণাগুণ মানেন না, কেননা জানেন না। আলোর দোেষই এই যে, ও বস্তু মানুষের করতলগত