পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, যষ্ঠ সংখ্যা সাহিত্যের জাতিরক্ষা oto. তঁরা “রিলিজন” করে” তোলেন নি। ‘রিলিজন হচ্ছে ভগবানে পৌঁছবার পাকা সড়ক, আর ধৰ্ম্ম হচ্ছে আত্ম-সাক্ষাৎ লাভ করবার sDBD BB DBDS BBD DBDDBDDBBiS DDS BBDD STDDDD দর্শন হয়। কেননা ভগবান যে মানুষকে তঁর নিজের মডেলে তৈরী cद्राछन, 6- ८८व्ल७3 ८व्ल । কিন্তু ‘রিলিজনী ভগবানে পৌঁছিবার পাকা সড়ক হলেও যে সেটা সোজা রাস্তা এমন নয়-কেননা মনটা 'রিলিজনের” “ক্রীডে’র জালে জড়িয়ে পড়ে। ও অবস্থায় ভগবান ত দুরের কথা-মানুষ নিজেকেই দেখতে পায় না। মনের যা সত্য তা মনের মধ্যেই আছে-তা তার বাইরে নেই। বাইরের “ক্রীড” হয়ত মনের কাছে ঘোর মিথ্যা। আর মিথ্যার মধ্যে মানুষের দৃষ্টি খোলে না কোনদিন, বরং আরও ঘুলিয়ে যায়। আর ঘুলিয়ে-যাওয়া দৃষ্টি নিয়ে নিজেকেও বোৱা যায় R-9tterse site et a এই যে এক যুগের মানুষের মন আর এক যুগের মানুষের মনের সঙ্গে এক নয়, আবার এক যুগের মানুষের মধ্যেই একজনের প্রকৃতি আর একজনের প্রকৃতি থেকে ভিন্ন—এই সত্যটা প্ৰাচীন ঋষিরা স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলেন বলে’ তাদের মধ্যে ধৰ্ম্ম বলে’ যে জিনিসটা গড়ে উঠল, সেটা কোন একজনের উপলব্ধ একটা সত্য নয়। আর সেই জন্যেই ক্রিশ্চিয়ান 'ক্যাথলিক’ বা ‘প্ৰটেষ্টাণ্ট ধৰ্ম্মে মেরী, খৃষ্ট বা বাইবেলের যে স্থান, মুসলমান ধৰ্ম্মে মহম্মদ বা কোরাণের যে স্থান, : হিন্দুর ধৰ্ম্মে মৎস্য, কুৰ্ম্ম, নৃসিংহ, বামন এমন কি ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণেরও ঠিক সেই স্থান নয়-বেদ বা কোন উপনিষদের বা গীতার ঠিক সেই স্থান নয়। সেইজন্যে হিন্দুর ধৰ্ম্মজগতে চিন্তার এত বিচিত্ৰত