পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব-বিদ্যালয় ( ভাষা-শিক্ষা ) শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্ৰীচরণেষু । আমরা যখন বাঙলা ভাষাকে স্কুল কলেজের ভাষা করে তোলাবার প্ৰস্তাব করি, তখন আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের একদল লোক, আমাদের উপর খড়গহস্ত হয়ে ওঠেন। তঁদের বিশ্বাস বাঙলা, বিদ্যাশিক্ষার ভাষা হলে আমাদের ছেলেরা ইংরেজি শিখবে না। এর পাল্ট জবাব অবশ্য এই যে, তারা ইংরাজি না শিখতে পারে। কিন্তু বিদ্যা শিখবে। কিন্তু এ জবাবে কারও মন ভিজবে না। আমাদের দেশের কৰ্ত্তব্যক্তিরা এর উত্তরে সমস্বরে বলবেন যে, সে বিদ্যে নিয়ে কি হবে- যার সাহায্যে জীবন যাত্রা নির্বাহ করা যায় না । ইংরাজি না জানলে যে ভদ্রসন্তানের ‘দিন আনা দিন খাওয়া” চলে না, এ কথা আমাদের দেশের নিরক্ষার লোকেও জানে। ও ভাষায় অজ্ঞ হলে যে * আমাদের ওকালতি, ডাক্তারি, কেরাণীগিরি, মাষ্টারি, এমন কি রাজনীতির নেতাগিরি করাও বন্ধ হবে—এ কথা বলাই বাহুল্য। এবং এসব ক্রিয়া বন্ধ হলে ‘বাঙালীর জীবনে আর কি কাজ থাকৃবে ? ও অবস্থায় আমরা যে ঘরে বসে সাহিত্য রচনা • করব তারও সম্ভাবনা কম। যা কথায় কথায় ইংরাজির তরজামা নয়, তা যে বাঙুল