পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, সপ্তম ও অষ্টম সংখ্যা বাঙলা কি পড়ব ? 80 আমি পূর্বে বলেছি যে, প্রতি ভাষারই একটি বিশেষ সুর আছে, এবং যে লেখার ভিতর সে সুর বাজে না, তা দর্শন বিজ্ঞান যা খুসি তাই হতে পারে ; কিন্তু সাহিত্য নয়। বাঙলা গদ্যের ভাষা অত্যধিক । সাধু হয়ে যে শুধু জড়ভরত হয়ে পড়েছে, তাই নয়,-সেই সঙ্গে তা নিতান্ত বেসুরো ও হয়ে পড়েছে । আমাদের কানে যে তা বেসুরে লাগে না, তার কারণ আমাদের নব শিক্ষার প্রসাদে, বাঙলা ভাষার নিজস্ব সুরটি শিক্ষিত বাঙালীর কান থেকে আলগা হয়ে গিয়েছে। M BD DB DD DBDSDD DBB BBD BDBDL0 BD BBS BD DBtD DDD BDBD BD DBDLLBBD BDLD BB DDS BDDBDBB DDD কারণেও প্রাচীন বঙ্গ-সাহিত্যের পঠন পাঠন শ্রবণ ও মনন প্রভৃতি আমাদের পক্ষে অবশ্য কৰ্ত্তব্য । যেমন সঙ্গীতের সুর আদায় করতে হলে, যত না তা এস্তমাল্লি করা দরকার, তার চাইতে ঢের বেশি তা শোনা দরকার। তেমনি কোনও ভাষার সুর আদায় করতে হলে, যত না তা বলা দরকার তার চাইতে ঢের বেশি তা শোনা দরকার । ক্রমান্বয়ে শুনতে শুনতে DGS DD DBDDBDBS DBDDBBBLDS DBB BBD BB BBDYDD বসে যায়। আমার বিশ্বাস আমাদের প্রবুদ্ধ চৈতন্যের কাছে যত জিনিষ না ধরা পড়ে, আমাদের মগ্ন চৈতন্যের কাছে তার চাইতে ঢের বেশি জিনিষ ধরা পড়ে। আমরা যাকে জ্ঞান বলি, তার যে অংশ আমরা সজ্ঞানে শিক্ষা করি, তার চাইতে তার যে অংশ অজ্ঞাতসারে আমাদের মনে সঞ্চিত হয়, তার মূল্য কম নয়। অপর বিষয়ের শিক্ষা সম্বন্ধে এ কথা খাটুক। আর না খাটুক, আর্টের শিক্ষা সম্বন্ধে এ কথ সম্পূর্ণ খাটে। --