পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; : . - “সঁবুজ পত্ৰ কাৰ্ত্তিক ও অগ্রহায়ণ, ১৩২৫ ভিখারী ধরে তার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না । কোন সৎপাত্রে যদি তিনি কন্যাকে সম্প্রদান না করেন, লোকে তবে বলবে কি ? এইরূপ নানা কারণে মুনসেফ,বাবুর কালো মেয়েটি তার বিষম একটি গলগ্রহ হয়েই উঠল। বিজলীর রূপের আকর্ষণ ত আদৌ ছিল না। তারপর যথেষ্ট টাকা ছড়িয়ে বর-পক্ষকে যে প্ৰলুব্ধ করবেন, মুনসেফ-; বাবু তাতেও ছিলেন নারাজ। উমাতারা কতকগুলো মেয়ে প্রসব করে মুনসেফ,বাবুর সুখ শান্তি হরণ করে তঁাকে বড়ই যে ভাবিয়ে তুলেছিল, এইটো উপলক্ষ্য করে মায়ারাণী বড়গিন্নিকে খোচা মারতে কসুর করত না। উমাতারার মুখে অবশ্য কোন জবাব ছিল না । সে বরং তার মেয়েদেরই গালিগালাজ করত,-ছাইকপালী, আভাগী, পোড়ামুখী, তোরা আমার কাল হয়ে জন্মেছিস, তোদের জন্যই আমাকে বুকে নোড়ার ঘা মেরে আত্মহত্যা করতে হবে, ইত্যাদি। আর বিজলীর মনের ভিতর তখন যে কি রকম হত, সেটা বলা বড় শক্ত। সে থাকত চুপ করে। হয়তো তার প্রাণের বেদনা এমনভাবেই জমাট বেঁধে গেছল যে, কোন কথাটি আর বেরোবার পথ পাচ্ছিল না। -- অমনতর বিপদের দিনে যেন একটি দেবতা এলেন, তাদের শাপ মুক্ত করতে। কুমারীশের জ্যেষ্ঠ সহােদর তখন যশোহরের একজন, সৰ্ব্ব-ডেপুটী কালেক্টর। একটি বড় বাড়ীর অৰ্দ্ধাংশ ভাড়া নিয়ে তিনি সেখানে বাস করতেন, আর তার অপর অংশের ভাড়াটে ছিলেন মুনসেফ,বাবু। কুমারীশ এম, এ, পরীক্ষা দিয়ে কিছু দিনের জন্য যশোহরে এসে তার দাদার বাসাতে ছিল। • কুমারী স্নেহলতা এর কিছুদিন পূর্বেই সনাতন হিন্দুসমাজের