পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ಶಿ! সবুজ পত্র কাৰ্ত্তিক ও অগ্ৰস্থায়ণ, ১৩২৫ DDD DBBD DB DBB SDBB BDD DBBB SBBB DBD DDD একবার পান, তাহলে তাদের মনোভাবের হয়তো বিপৰ্যয় ঘটবে। ভাগ্যদেবতার যে দান আর দশজনে হয়তো তা পরম সৌভাগ্য জ্ঞানে গ্ৰহণ করতেন, কিন্তু বিজলীর হাতে তার মৰ্য্যাদা যেন কতকটা ক্ষুধই হয়েছিল। প্ৰথম পরিচয়েই বিজলী বুঝল, কুমারীশ যে আপনা হতে সোধে এসে তাকে তার জীবনের সঙ্গিনী করে নিয়েছে, প্ৰাণের দরদই এর মূল কারণ নয়। কুমারীশের ভিতরের প্রাণটি শুকিয়ে কৰ্ত্তব্যের কঠিন-মুৰ্ত্তিই ধারণ করেছিল। নানা প্রসঙ্গে কুমারীশও এই কথাটিই বিজলীকে জানিয়ে দিল। অপসারীতুল্য কত সুন্দরী নারী তার মতো একটি সৎপাত্রের শ্ৰীকরকমলে সমাপিত হলে আপনাদের জীবন ধন্য জ্ঞান করত; কিন্তু কৰ্ত্তব্যের আহবান উপেক্ষা করতে না পেরে, সে আত্মসুখ বিসর্জন দিয়েছে। এমন দেবতুল্য যে স্বামী, দ্বৈতবাদীর পূজোর দেবতার মতো সসন্ত্রমে দূরে দাড়িয়ে তাকে পূজো করাই বেশ চলে ; অদ্বৈতবাদীর জীবন-দেবতা হয়ে সে প্ৰাণের শ্ৰীতিভার শতদলটির উপর ভ্রমরের মতো এসে এক দণ্ডও বসে না। বিজলী তার পূজোর দেবতাকে পেল, কিন্তু প্ৰাণটি তার অনাদরেই পড়ে রইল। বিজলীর অন্তরের প্রতি অণু-পরমাণুকে স্পন্দিত করে রয়েছিল তার যে প্ৰাণের বেগ, সে যদি একটি প্ৰাণের পথ খোলা পেত, সৌদামিনীর মতো তা আলোক দানেই হয়তো নিঃশেষ হত ; কিন্তু বদ্ধতার অন্তরে নিবিড় মেঘের স্তবন্ধনীড়ে, ঝড়ের একটি প্রচণ্ড বেগের মতোই যেন তা লীন হয়ে রইল ।