পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ééb i ag na etis a waty, bert তত্বের দিক দিয়ে” এইটুকু বলা যায় যে, বেদের সময়থেকেই আৰ্যভাষা অনাৰ্য্যের ঘরে জাত দিয়েছে, তাকে আর কিছুতেই ঠেলে শুদ্ধ ক’রে জাতে তোলা যায় না। আদি কালের আর্যজাতি উত্তর মেরুতেই থাকুন। আর মধ্য-এশিয়ায় থাকুন, দক্ষিণ রুষেই থাকুন। আর স্কাণ্ডিনেভিয়াতেই থাকুন, বা এদেশের লোকই হ’ন, তঁদের নিদর্শন কোথাও মেলে না ; কিন্তু ভঁাদের ভাষা আর চিন্তাপ্ৰণালী সম্বন্ধে, আর তাই অবলম্বন ক’রে তঁদের সভ্যতা ও রীতিনীতি সম্বন্ধে আধুনিক ভাষাতত্ত্ববিদ্যা অনেক খবর দিয়েছে। দেখা যায় যে, বেদে যে ভাষার নিদর্শন আমরা পাই, কেবল সেটাতেই অনেকটা মূল আৰ্য্যত্ত্বের ছাঁচ বৰ্ত্তমান ; তার পরের অর্বাচীন যুগের সংস্কৃতে, প্রাকৃতে আর আধুনিক ভাষাগুলিতে সে ধাঁচা নাই-পুরানো ধাতু আর শব্দ অনেকগুলি আছে বটে, কিন্তু কোথা থেকে অনেক নোতুন শব্দ এসে’ জুটেছে, বাক্য-রচনা-রীতি আর পুরানো বা বিশুদ্ধ আৰ্য্যচিন্তার অনুরূপ নয়, অন্য ধরণের। একদিকে বেদের আর প্রাচীন ব্ৰাহ্মণগ্রন্থের ভাষা-আর একদিকে বাঙলা প্রভৃতি; এদের যদি দ্রাবিড় ভাষার সঙ্গে তুলনা করা যায়, দেখা যায় যে, তামিল তেলুগুর যে ছাঁচ, বাঙলারও সেই ছাঁচ; যদিও বাঙলার ধাতুগুলি আর শব্দগুলি মুখ্যত তন্তব, অর্থাৎ বৈদিক থেকে উৎপন্ন। বৈদিক ক্রমে প্ৰাকৃত হ’ল,-প্ৰাকৃত বাঙলা প্ৰভৃতিতে দাঁড়াল। এই পরিবর্তন কিন্তু একটানা ভাবে হয় নি। বাঙলা প্ৰভৃতির উৎপত্তি আর প্রকৃতি বিচার করলে এইটুকু বােঝা যায় যে, বৈদিক কালের “জাত আৰ্যভাষীর বংশধরের মুখে মুখে বদলে’ এলে’ যে রকমটি এর রূপ দাড়াত, এর এখনকার রূপটি সে রকম নয়। আৰ্যভাষা অনাআৰ্য-ভাষীর দ্বারা গৃহীত হওয়াতেই এর পরিবর্তন স্বাভাবিক হয় নি।