পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দীর্ঘ দিন ধরে বারন্দায় একলাটি আলোয় বসে চেয়ে চেয়ে আনমনে কতই দেখি। গাছের পাতা দোলে, প্ৰজাপতিরা হেলে দুলে চলে, ফুল মাথা নোয়ায়, আলগোছ হ’য়ে সরে দাঁড়ায়, ভঙ্গী করে। মুখখানি হেলিয়ে দেখে, আড়চোখে চায়, মুচকি হাসে, আবার বেজায় গম্ভীর হয়ে মাথা খাড়া করে দাঁড়ায়, রকম দেখে হেসে বলি, “সাবাস --সামান্যি মেয়ে নও তুমি”। কখনো ফুলগুলি, এ ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে চুপি চুপি কি বলাবলি করে, ছড়িয়ে গিয়ে হেসে গড়িয়ে পড়ে। দুটাে সাদা প্ৰজাপতি ; ফুরে ফুরে সাদা মলমলের ডানার উপর সোণালি চুমকি বসান, ফুলবাবু দু’জন, গাঁদা ফুলের মজলিসে আসর জমাতে এসেছিল, আমলই পেলে না। সোণামুখী গাঁদা মুখ ভার করে ফিরে বসল-তার পর এলেন একটি কালো মাণিক, তার ডানার উপর রাঙা ছাপ। কালোর উপর যতটা বাহার । চলে, সে তা করতে কসুর করে নি, তবে তাকে কেউ পুছলই না। তার পরে এলেন একজন কমলা রংএর, আয়তনে বৃহৎ, ডানা দুটি পুরু, যেন মখমলে গড়, তার উপরে কালে কালো চোখের মত ছাপা অ্যাক, মোটাসোটা, বড় মানুষের ছেলের মত, গজেন্দ্ৰ গমনে ! গাঁদা ফুলের মজলিসে গিয়ে স্বচ্ছন্দে বসে পড়ল, যেন তার ইজার করা