পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬০৪

V (y সবুজ পত্ৰ ফাঙ্কন, ১৩২৫ সময়ে অসবর্ণ বিবাহকে অবাঞ্ছনীয় মনে করত, এটুকু বোঝা যায়। আর সে ভােব আত্মাভিমানী জেতুজাতির পক্ষে খুবই স্বাভাবিক, যেখানে তারা বিজিত দেশজ জাতিকে হেয় মনে করে, এবং নিজেদের আভিজাত্য রক্ষা করতে ব্যস্ত হয় । শ্বেত ব্ৰাহ্মণ ইংরাজদেরও ত এই মনোভাব ; এবং শ্বেতকৃষ্ণের বর্ণসঙ্কর পৃথিবীর কোন সমাজেই সমাদৃত নয়। একদিকে দেখি গীতার এই প্রতিকূলতা, আবার ওদিকে শুনি শাস্ত্ৰে অনুলোম বিবাহের বিধি, অথচ প্ৰতিলোম বিবাহের নিষেধ আছে। এই নানা মুনির নানা মতসঙ্কুল শাস্ত্ৰবিচার ছেড়ে একালে এলে দেখা যায় যে, লোকাচার অসবৰ্ণ বিবাহের প্রতিকুল ; এবং বৰ্ত্তমান হিন্দুসমাজ যে-ভাবে বিধিবদ্ধ, অসবৰ্ণ বিবাহ একেবারে তার মুলে কুঠারাঘাত করে। কারণ হিন্দুত্বের লক্ষণ আর যাই হোক, জাতিভেদ-প্ৰথা তার মধ্যে যে সুর্বপ্রধান, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। এমন কি, সে প্রথা লোপ পেলে-হিন্দুধৰ্ম্মের না হোক--হিন্দুসমাজ বা হিন্দুয়ানীর আর কিছু অবশিষ্ট থাকে। কিনা সন্দেহ ;-হিন্দুর ধৰ্ম্মে কৰ্ম্মে, আচারে অনুষ্ঠানে, BBD BB BBBDBB TB DBDLDLLsLDDDB BDD S SDDD D DBDBD D DBBBBDD BDBDSkDDBDB BBDBB BBuS DBD DDD প্ৰাণপণে হিন্দুয়ানীর এই শেষ খোটাটিকে ধরে থাকতে চাবেন, তা সহজেই অনুমান করা যায়। হিন্দুর ধৰ্ম্ম ব্ৰাহ্মণের ধৰ্ম্ম, তার গৌরব । আগৌরব সবই ব্ৰাহ্মাণ্যের সঙ্গে লিপ্ত। শাস্ত্রের বিধিনিষেধ। সবই ত শুনি ব্ৰাহ্মণের জন্য ; অব্রাহ্মণে কি করে না করে তাতে বিশেষ কিছু আসে যায় না। জাতিভেদ যদি সর্বতোভাবে লুপ্ত হয় ত ব্ৰাহ্মণত্বও লোপ পাবে। ব্ৰাহ্মণের প্রায় সব বিশেষত্ব নষ্ট হয়েও যে আজও হিন্দুসমাজ টিকে আছে, সে কেবল এই জাতিভেদ-প্রথার গুণে ৰা।