পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

erby जबू °ांख চৈত্র, ১৩২৫ সাহিত্যের উদ্দেশ্য নির্ণয় আর সমাজের চৌহদি নির্দেশ নিতান্তই আবশ্যক।-নতুবা অদূর ভবিষ্যতে উভয়েরই শ্ৰীহীন হয়ে পড়বার दिव्ाक्र० ज&ादन्मा । সাহিত্য-সমালোচনার সময় আমরা প্রায়ই ভুলে যাই যে, ও-বস্তু সমাজ-কোষে উপ্ত এবং অন্ধুরিত হ’লেও ওর ফুল এবং ফল আকাশেই ফুটে থাকে।--তথাকথিত সমাজের মাটী অ্যাকড়ে যার মন পড়ে আছে, সাহিত্যের সুতার এবং সুগন্ধ থেকে সে যে চিরদিনই বঞ্চিত থাকবে । বেল পাকলে কাকের কি ? তবুও যে যখন তখন সমাজের তরফ থেকে সাহিত্যের উদ্দেশে লোষ্ট্র-বর্ষণ হয়ে থাকে তাতে ত আশ্চৰ্য্য হবার কিছুই নেই। অন্ত্রি করেই ত ইত্যর প্রাণী থেকে মানুষের শ্রেষ্ঠতা অহরহ প্ৰতিপন্ন হচ্ছে। না-মরে ভূত হবার শক্তি ত ঈশ্বর আর কোন জানোয়ারকেই দেন নি। ও-যে জীবশ্রেষ্ঠ মানুষেরই সামাজিক উত্তরাধিকার -আশার চাইতে মানুষের আশঙ্কাই বেশি। এই আশঙ্কার বশে অভিভূত হয়েই তা সাহিত্যের ফুলের ঘায়ে আমাদের মুছার উপক্রম হয় ; আর এই আশঙ্কার উদ্বেগে উত্তেজিত হয়েই ত প্ৰতি মুহূৰ্ত্তে কঁাচা-সাহিত্যের ডাস-ফলের আকস্মিক পতনে সমাজের অপঘাত সম্ভাবনায় আমরা অধীর হ’য়ে üöfð | আশঙ্কায় দিশে-হারা হয়ে আমরা ভুলে যাই যে, জনগণের ঐকান্তিক মানস ছাড়া সাহিত্যের ফলে পাক ধরে না ; আর, সমাজের আন্তরিক আহবান ছাড়া সাহিত্যের ফল ভূমি স্পর্শ করে না। বঙ্কিম চন্দ্রের “বন্দেমাতরম” বাঙালীর অন্তর স্পর্শ করেছে, তঁার পরলোক গমনেরও বহুবর্ষ পরে। আর, বলাই বাহুল্য যে, ‘বসুমতী’র সুলভ