পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

er 3, 7 Meji আৰ্য্যামি Ved খানে ছিল না। ওটা একটা ভাষাতত্ত্ব ও নৃতত্ত্বের পণ্ডিতদের মানসিক সৃষ্টি, “ওয়াকিং হাইপাথিসিস’ । যেমন গতিক দেখা যাচ্ছে, তাতে করে” প্ৰাচীন ও আদিম আৰ্য্যজাতির অদৃষ্টে কি আছে বলা কঠিন। আসছে পঞ্চাশ বছরের মধ্যে তঁরা বিধাতার সৃষ্টি বলে কায়েম হয়ে ও বসতে পারেন, আবার মানুষের কল্পনা বলে’ বাস্তব পদার্থের লিষ্টি থেকে তাদের নাম ও কাটা যেতে পারে । কিন্তু একটা বিষয়ে আমরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারি। আৰ্য্যজাতির কপালে যা-ই ঘটুক, তারা বস্তু হ’য়ে চেপেই বলুন, আর অবস্তু হয়ে উড়েই যান,-“আৰ্য্যামি বস্তুটির তাতে বিশেষ কোনও ক্ষতি বৃদ্ধি হবে না। যারা মনে কুরে, কারণ না शुष्कळद्दे उग्रांद्र ऊांद्र কাৰ্য্য থাকে না, তারা না পড়েছে দর্শনশাস্ত্ৰ, না আছে তাদের লৌকিক জ্ঞান । ‘নিমিত্ত কারণ যে একটা কারণ, একথা আৱিষ্টটল থেকে অন্নভট্ট পৰ্য্যস্ত সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন । এবং ও-কারণটি নিজে ধবংশ হ’লেও তার কাৰ্য্য ধবংশ হয় না । যেমন নিজের বোন কাপড়খানির পুর্বেই তঁাতি বেচারীর জীবনান্ত ঘটতে কিছুই আটক নেই। আর পুথি ছেড়ে সংসারের দিকে চেয়ে দেখলেও এর ভুরি ভুরি প্রমাণ চোখে পড়বে। যুদ্ধ থেমে গেছে কিন্তু “পাবলিসিটি বোর্ড' চলছে; জাৰ্ম্মাণ ভীতি ঘুচে গেল অথচ “রিফৰ্ম্ম স্কীমা” নিয়ে আমাদের তর্ক শেষ হয় নি ; এমন কি বিলাতের কলের মজুরেরা যেমন যুদ্ধের মধ্যে দুবেলা পেটপুরে খেয়েছে, যুদ্ধের পরেও তেমনি চলুক বলে’ হাঙ্গাম উপস্থিত করেছে।

  • কিন্তু প্ৰকৃত গোড়ার কথা এই যে, “আৰ্য্যামির’ সঙ্গে “আৰ্য্যের” আসলে কোনও কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধ নেই। আৰ্যজাতি পৃথিবীতে যতই