পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(bro সবুজ পত্ৰ 5, >७२८ একটা সহজ ছোট উত্তর দেওয়া যাচ্ছে । কারু নিজের সম্বন্ধে অহঙ্কার প্রকাশ করাটা যে, সমাজে নিন্দার কথা, তার কারণ ঐ এক অহং-এর খোচা আর সকল অহং-এর গায়ে লেগে তাদের ব্যথিত করে।’ তোলে। কিন্তু একটা গোটা দলকে ধরে যখন এটি প্ৰকাশ হয়, তখন দোষটা আর থাকে না । এবং এতে দলের সকলেরই সহানুভূতি পাওয়া যায়। অবশ্য এক দলের অহং বোধটা অন্য আর এক দলের গায়ে লাগেই লাগে। কিন্তু তাতে কিছু এসে যায় না। কেননা আমাদের যা কিছু রীতি, নীতি, বিধি, নিষেধ, সে সবি হ’ল ছোট হোক বড় হোক কোনও একটা দলের লোকদের পরস্পরের প্রতি ব্যবহারকে লক্ষ্য করে' । এক দলের সঙ্গে অার এক দলের ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রিত করা এ সব কোনও কিছুরই লক্ষ্য নয়। সেই জন্য লোকের সঙ্গে কথায় ও কাজে যে লোকের ভদ্রতার সীমা নেই, সেই লোকই একটা সমস্ত জাতির সম্বন্ধে কথায় বা ব্যবহারে কোনও রকম ভদ্রত রক্ষার প্ৰয়োজন বোধ করে না । যে লোক জীবনে কাকেও কোনও দিন কড়া কথা বলে নি, সেও দল বেঁধে একটা গোটা দেশকে পেষণে ও শোষণে কিছুমাত্র দ্বিধা করে না । আধুনিক যুরোপীয় রাজ্যগুলির মধ্যে “ইণ্টারন্যাশানাল ল” বলে’ যে আপোষি ব্যবহার নীতির চলতি আছে, সকলেই জানে যে, তার গোড়ার কথা হচ্ছে সমাজে বা রাষ্ট্রে মানুষের সঙ্গে মানুষের ব্যবহারের যে সব নিয়ম কানুন গড়ে উঠেছে, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের ব্যবহারে সেই গুলিকে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা । ডাচু পণ্ডিত হুগো গ্রোসিয়াসকে এই আন্তর্জাতিক ধৰ্ম্মশাস্ত্রের। প্ৰবৰ্ত্তক বলা চলে। এ সম্বন্ধে যিনি কিছুমাত্র আলোচনা করেছেন তিনিই জানেন যে, রোমান ব্যবহার