পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

য, বিতীয় সংখ্যা বিবাহের পণ বিবাহের সময় কেন যে পণের কথা ওঠে তা অনেকেই ভেবে দেখেন না, মনে করেন যে দেশের শিক্ষিত যুবকেরা একটু সৎসাহস প্রদর্শন করে যেমন তেমন পাঁচপেঁচে রকমের মেয়েদের, শিক্ষিতা কি অশিক্ষিত সুন্দরী কি কুৎসিত ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য না করে, কেবল হাত পা আস্ত আছে এইটুকুমাত্র দেখে, বিবাহ করলেই এই উৎপাত থেকে দেশটা মুক্ত হবে। মেয়ের বাপেরা এবং অপুত্রকেরা বুঝতেই পারেন না যে, ছেলেগুলাে লেখাপড়া শিখে এত নীচপ্রবৃত্তি হয়ে যাচ্ছে কেন, যে তাদের এবং তাদের বন্ধুবর্গের কুলে- শীলে উৎকৃষ্ট মেয়েদের বিবাহ কর্তে ইতস্ততঃ করে। অনেকে আবার কল্পনার চক্ষে অতীতের সৌন্দৰ্য্য দর্শন করে কেবল এই বলে আক্ষেপ করেন যে “আহা সেকালে আমাদের বাপ পিতামহের আমলে কোনই হাঙ্গামা ছিলনা, বিয়েতে জোর ৫১ পণ ছিল, তাও বরের কুলের উচ্চতা অনুসারে দেওয়া হত। -আজকাল কুলের খোঙ্গে কাজ নাই, দাও কেবল টাকা আর টাকা। অধিকন্তু কাগজে সহিকরা ছেলেদের কামড় আরও বিষাক্ত-তারা পণ নেন না বটে কিন্তু এত বেশী খুতখুতে মন নিয়ে আসরে নামেন যে, হয় মেয়েদের ডানাকাটা পরী হতে হবে, তাতেও বােধ হয় কুলাবে না—কিম্বা তাদের অতি- ভাষকদের ঐশ্বর্যের বাতাসটা এ রকম বওয়া উচিত যে বর যেন কেবলমাত্র ঘ্রাণ দ্বারা অনুমান কর্তে পারেন যে, এস্থলে দরকশাকশি করেও, যা চাওয়া যেতে পারে তার অপেক্ষা বেশী পাবেন। অতএব সকলেরি ভাবা উচিত যে এ কু-প্রথা আমাদের দেশে কেন এল এবং এর প্রতিকারই বা কি। সত্যযুগ, স্বর্ণযুগ ; এমন কি সকল বিষয়ে আদর্শ-যুগ। সে যুগে