পাতা:সবুজ পত্র (বর্ষ ২) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)dŃé সবুজ পত্ৰ আষাঢ়, ১৩২২ মৌখিক ভাষা এক নয়, দেশভেদ এবং জাতিভেদ অনুসারে মুখের কথা নানা আকার ধারণ করে । মৌখিক ভাষার অনুসরণ করলে সাহিত্যে প্ৰাদেশিকতা এসে পড়বে—-এ ভয় অনেকেই পান ; এবং সাহিত্যকে এই দোষ হতে মুক্ত রাখবার অভিপ্ৰায়ে তঁরা প্ৰস্তাব করেন যে, সমস্ত বঙ্গ দেশের জন্য এমন একটি ভাষা রচনা করতে হবে, যা বাঙ্গলার কোন প্রদেশেরই ভাষা নয়। সাধুভাষার স্বপক্ষে এই হচ্ছে সর্বপ্রধান যুক্তি। এ যুক্তির বিরুদ্ধে আমার বক্তব্য কথা আমি ইতিপূৰ্ণে আমার “চলতিভাষা বনাম সাধুভাষা, ওরফে বাবু বাংলা” নামক প্ৰবন্ধে লিপিবদ্ধ করেছি। সংক্ষেপে আমার কথা এই :- সাহিত্যের রাজ্য অধিকার করবার জন্য নানা প্ৰাদেশিক ভাষার ভিতর প্রথমে লড়াই চলে। সে লড়াইয়ে, যে প্ৰাদেশিক ভাষার রসনােবল সব চেয়ে বেশি, সেই ভাষা জয়লাভ করে,-বাদবাকি সব উপভাষা হয়ে পড়ে। পৃথিবীর সকল দেশেই সাহিত্যের ভাষা তার কোন একটি বিশেষ প্রদেশের মৌখিক ভাষার উপর প্রতিষ্ঠিত। এবং সেই মৌখিক ভাষার সঙ্গে যোগ রক্ষণ করেই BDDBD DD gg gD BD DDDS S DBBSS S BBBB DB মৌখিক ভাষার অল্পবিস্তর পরিবর্তন ঘটে, এবং সঙ্গে সঙ্গে লিখিত ङांषांद्व७ झ°ांख्द्र घछे । Shakespeare4द्र ङांषांश ७॥ भूर्भ ইংরাজিতে গন্ত পদ্য কিছুই লিখিত হয় না। অথচ ইংরাজি ভাষায় আজও সাহিত্য রচিত হয়। যদি কোনও দেশে কোনও কারণে লিখিত ভাষা। কথিত ভাষার অনুসরণ না করে, তাহলে অচিরে সে ভাষা কালগ্ৰাসে পতিত হয়। আমাদের দেশে পুথিগত